ঢাকা বিমানবন্দরে আধুনিক লাউঞ্জ চালু করল স্ট্যানচার্ট

Slider অর্থ ও বাণিজ্য

41d9dd8ff8b382b01687f584cd594e28-5a19dea65bb63

 

 

 

 

বিদেশগামী যাত্রীদের জন্য ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি লাউঞ্জ চালু করেছে বহুজাতিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (এসসিবি) বাংলাদেশ। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন গতকাল শনিবার প্রধান অতিথি হিসেবে এই লাউঞ্জটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।

প্রাথমিকভাবে এসসিবি বাংলাদেশের অগ্রাধিকার ব্যাংকিং (প্রায়োরিটি ক্লায়েন্ট) গ্রাহক ও প্রিমিয়াম কার্ড ব্যবহারকারীরা বিদেশযাত্রায় এই লাউঞ্জ ব্যবহার করতে পারবেন। এ ছাড়া কিছু বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাত্রীরাও এটি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এসসিবি বাংলাদেশের পক্ষে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নকশিকাঁথা লাউঞ্জটি পরিচালনা করবে।

উদ্বোধনের পর আগত অতিথি ও গণমাধ্যমকর্মীদের লাউঞ্জটি ঘুরিয়ে দেখান এসসিবি বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। লাউঞ্জে আধুনিক স্থাপত্য, ওয়াই–ফাই ইন্টারনেট সংযোগ, কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, খাবারের ব্যবস্থা ছাড়াও রয়েছে খোলা আকাশ দেখার সুযোগ। লাউঞ্জে বসে খোলা আকাশ দেখার জন্য দোতলায় স্বচ্ছ কাচ দিয়ে তৈরি বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুরো লাউঞ্জটির স্থাপত্য নকশা তৈরি করেছেন স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝর ও অপি করিম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ এনামুল বারী, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম হাসান, নকশিকাঁথার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজ আহমেদ, এসসিবি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয়, রিটেইল ব্যাংকিংয়ের প্রধান আদিত্য মান্ডলই ও ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি রাশেদ খান মেনন বলেন, স্থানসংকটের কারণে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সেভাবে বাড়ানো সম্ভব হয়নি। এখানে অনেক প্রতিষ্ঠানের বিদেশি অতিথিদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া তাই কঠিন হয়ে পড়ে। এ ধরনের বেসরকারি লাউঞ্জ সে চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিমানবন্দরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তবে লাউঞ্জের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

এসসিবি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন আকর্ষণীয় একটি দেশ। বিনিয়োগকারীরা যখন এ দেশে আসেন, তখন তাঁদের দ্রুত গতির ওয়াই–ফাই ইন্টারনেট, কাজ করার জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশের দরকার হয়। সেই চাহিদা পূরণের জন্যই এই লাউঞ্জটি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *