সঙ্গে করে ল্যাপটপ নিয়ে ঘুরতে হবে না। টেবিলেও রাখতে হবে না ঢাউস আকারের কম্পিউটার। গায়ে যে জ্যাকেট চড়াবেন, সেটাই কম্পিউটারের কাজ করে দেবে। কল্পকাহিনির মতো ব্যাপারটাকে বাস্তবে সম্ভব করেছেন কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও শিক্ষক রাগিব হাসান। তাঁর সে গবেষণা নিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে প্রথম পাতায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর গবেষণার কথা নিয়েই প্রচ্ছদ প্রতিবেদন।
শেষের কথা দিয়ে শুরুটা করি, ‘আমরা কম্পিউটারকে অদৃশ্য করে দিতে চাই।’ ১৫ নভেম্বর মুঠোফোনে কম্পিউটার বিজ্ঞানী রাগিব হাসান যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ কথা দিয়েই আলাপ শেষ করছিলেন। কথোপকথনের শুরুতে এ কথা শুনলে ঘাবড়েই যেতাম। কম্পিউটার নিয়েই যে বিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষকের কাজ, তিনিই কিনা বলছেন কম্পিউটারকে উধাও করে দিতে। সে দিনের আলাপনে ততক্ষণে রাগিবের এই কথার মর্ম অবশ্য বুঝে ফেলেছিলাম।
বাংলা উইকিপিডিয়া, শিক্ষক ডটকমের কারণে রাগিব হাসানের পরিচিতি রয়েছে বেশ। এবার তাঁর সঙ্গে আলাপের মওকা তৈরি হলো দারুণ এক গবেষণার জন্য। রাগিব পুরো কম্পিউটার আর স্মার্টফোনের কাজটাকে পোশাকের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলেছেন। এ নিয়ে গবেষণা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব আলাবামা অ্যাট বার্মিংহামে, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনি সহযোগী অধ্যাপকও। ফোনে কথা বলার ঠিক এক দিন আগে ১৪ নভেম্বর বিজ্ঞান-প্রযুক্তির গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় অনুদান ও স্বীকৃতি প্রদানকারী সংস্থা ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটের প্রথম পাতায় রাগিবের পরিধেয় ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়ে ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ এক অনন্য স্বীকৃতি। কেননা প্রতিবছরই চার-পাঁচ হাজার গবেষণা প্রকল্প এখানে জমা পড়ে। এর মধ্যে ২০ থেকে ২৫টি গবষেণা বাছাই করে ফাউন্ডেশন। তাদের সাময়িকীতে সেটি নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশ করে। ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন বছরে ৫০০ কোটি ডলার অনুদান দিয়ে থাকে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির নানা শাখায় মৌলিক গবেষণা প্রকল্পে। এ কারণেই রাগিবের পরিধেয় কম্পিউটার-বিষয়ক গবেষণা নিয়ে এনএসএফ ওয়েবসাইটের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রতিবেদন এক অনন্য অর্জনের সংবাদ।
শুরুটা জ্যাকেট দিয়ে
কম্পিউটার ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাগিব হাসান গবেষণা করেন তাঁর কর্মস্থল ইউনিভার্সিটি অব অালাবামা অ্যাট বার্মিংহামের সিক্রেট ল্যাবে। এই ল্যাবের তিনি পরিচালক। এখন যে প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেটির গবেষণা শুরু ২০১৫ সালে। ‘এখন আমরা অনেক ঘোরাঘুরি করছি। তাহলে কম্পিউটার কেন আলাদা হবে?’ বর্তমানে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন কম্পিউটারকে বাদ দিয়ে ভাবা যায় না। তো এখনকার ঘটনাটা কী? ইন্টারনেট কম্পিউটার আর স্মার্টফোন সব সময়ই লাগছে। কিন্তু প্রতিটি যন্ত্র আলাদা। বাইরে বেরোনোর সময় ল্যাপটপ বহন করতে হচ্ছে, স্মার্টফোনকেও সঙ্গে নিতে হচ্ছে। আবার অফিস কিংবা বাড়িতে ডেস্কটপ কম্পিউটার রাখতে হচ্ছে আলাদা আয়োজন করে।
আলাদা যন্ত্র একসঙ্গে বহন করার চিন্তা এল রাগিবের মাথায়। কিন্তু বাস্তবতা হলো ঢাউস আকারের এত এত যন্ত্র তো আর বহন করা যাবে না। রাগিবের গবেষণা শুরু হলো। পরনের পোশাকটাই যদি সব যন্ত্রের সুবিধা দেয়, তবে? ‘এখন আমরা যে ঘোরাঘুরি করি, তখন তো কম্পিউটারের নানা সহায়তা প্রয়োজন হয়। ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর অগমেন্টেড রিয়েলিটি প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে, তখন এই যান্ত্রিক সুবিধা আরও বেশ করে লাগবে। ধরুন একটা দালানের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে সেটির দিকে তাকালাম। চোখে পরা চশমা তখন সেই দালানের বিভিন্ন তথ্য জানিয়ে দেবে। দরকারে ভেতরের ত্রিমাত্রিক ছবিও দেখিয়ে দেবে। সেখান থেকেই চিন্তা এল দৈনন্দিন ব্যবহারের মধ্যে যদি কম্পিউটারকে ঢুকিয়ে দিতে পারি।’
রাগিব হাসান ভাবলেন পুরো একটা ক্লাউড প্রযুক্তির সুবিধা কাপড়ের মধ্যে কীভাবে আনা যায়। এই সময়ের আলোচিত প্রযুক্তি ক্লাউড ইন্টারনেটের মাধ্যমে সব তথ্য রাখার জায়গা। যেখানে কোনো তথ্য, ছবি বা ভিডিও রেখে পরে যেকোনো জায়গা থেকে সেটা পাওয়া যায়। এই প্রযুক্তির সেবা দিতেও লাগে আলাদা কম্পিউটার সার্ভার, বড়সড় জায়গা। সেই ক্লাউডে আবার একই সঙ্গে অসংখ্য মানুষের তথ্য থাকে। ক্লাউড প্রযুক্তিকে ব্যক্তিগত বানাতে চাইলেন রাগিব। এতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আর তথ্যের নিরাপত্তা ঠিকঠাক থাকে। রাগিব হাসান জ্যাকেট বানানোর উদ্যোগ নিলেন। ভিজিটিং কার্ড বা ক্রেডিট কার্ডের আকারে র্যা স্পবেরি পাই নামে কম্পিউটার আছে, যা হাতের তালুতেই এঁটে যায়। রাগিব হাসান ১০টা র্যা স্পবেরি পাই নিলেন। ‘বিদ্যুতের জন্য সঙ্গে নিলাম ৩টা পাওয়ার ব্যাংক। আর জ্যাকেটের পিঠে সোলার প্যানেল। সব জ্যাকেটের ভেতরে ঢুকিয়ে দিলাম।’ বললেন রাগিব হাসান। এই জ্যাকেটে পুরো কম্পিউটার তৈরি হয়ে গেল। বিদ্যুতের চিন্তাও দূর হলো।
রাগিব আবার বলতে থাকেন, ‘দেখুন স্মার্টফোন, স্মার্টঘড়ি—এসবেরও তো অনেক দাম। আলাদা করে কেনার দরকার কী। স্মার্টফোন বা স্মার্টঘড়ি যে প্রসেসর ও অন্যান্য যন্ত্র দিয়ে চলে, সব থাকবে জ্যাকেটের ভেতরেই।’ কিন্তু স্মার্টফোনের পর্দা? রাগিবের সহজ সমাধান, ‘আপনার হাতে শুধু একটা টাচস্ক্রিন থাকবে। যেটির দাম ২০০-৩০০ টাকার বেশি হবে না। তার ছাড়া এগুলো যুক্ত হবে জ্যাকেটের মধ্যে থাকা যন্ত্রপাতির সঙ্গে। এমনকি একই সঙ্গে আপনি আইফোন আর অ্যান্ড্রয়েড ফোন চালাতে পারবেন।’ এই জ্যাকেটই হলো স্মার্ট জ্যাকেট।
উদ্ধারকর্মী ও সবার জন্য
প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ যেকোনো দুর্যোগে উদ্ধারকর্মীরা এই জ্যাকেট পরে কম্পিউটারের কাজ করতে পারবেন। দূরনিয়ন্ত্রিত সেন্সর থাকার জন্য বিভিন্ন জরুরি তথ্য আদান-প্রদানও করা যাবে। এতে বিশেষ কিছু সফটওয়্যারও দেওয়া থাকবে। দুটি জ্যাকেট হলে শক্তিশালী একটা ক্লাউড ব্যবস্থাও গড়ে তোলা যাবে।
একটা প্রশ্ন চলে আসে মনে, যন্ত্রপাতি ঠাসা জ্যাকেটটি দেখতে কিম্ভূতকিমাকার হবে কি না? রাগিব জবাব দেন, ‘আমরা প্রথমেই মাথায় রেখেছি সাধারণ জ্যাকেটের চেয়ে এটা যেন দেখতে উদ্ভট না হয়। সবাই যেন সব সময় পরতে পারে। তাই আমাদের স্মার্ট জ্যাকেটের সাধারণ জ্যাকেটের মতোই। ওজনেও খুব একটা ভারী না।’ গবেষণাগারে এই জ্যাকেট তৈরিতে খরচ হয়েছে ৫০০ ডলার। বাণিজ্যিক উৎপাদনে গেলে দাম কমে আসবে।
নিজেরই সঙ্গেই ‘হাসপাতাল’
সিক্রেট ল্যাবে রাগিব হাসান ও তাঁর দল ২০১৬ সালে শুরু করেন ‘হসপিটাল গ্রাউন্ড’ নিয়ে গবেষণা। সাধারণত বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য রোগীকে হাসপাতাল বা ডায়াগনসিস সেন্টারে যাওয়া লাগে। তাঁর গায়ে নানা রকম সেন্সর লাগিয়ে পরীক্ষা করা হয়। সার্বক্ষণিক রক্তচাপ, হৃৎস্পন্দন এসব মাপার জন্য হয়তো হাসপাতালেই থাকতে হয়, নয়তো কেউ এসে মেপে দিয়ে যান। রাগিব হাসানরা এমন এক জ্যাকেট তৈরি করেছেন, যেটা পরার পর রোগীর দরকারি পরীক্ষা জ্যাকেটটির মাধ্যমেই হয়ে যাবে। সেন্সর থাকবে তাই কখন কাঁপুনি এল, কখন রক্তচাপ বাড়ল বা কমল, জ্যাকেটের কম্পিউটার সব তথ্য পেয়ে যাবে। সেই তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে চলে যাবে।
স্মার্ট গয়নার কথা
রাগিব হাসান এ বছর গবেষণা শুরু করেছেন স্মার্ট গয়না নিয়ে। একটা কথা বলে রাখা ভালো, রাগিবের গবেষণা মানে কিন্তু শুধু গবেষণাপত্রে অর্থাৎ কাগজে-কলমে-চিন্তায় সীমিত নয়। বাস্তব প্রতিলিপি (প্রোটোটাইপ) বানিয়ে সেটাকে আরও উন্নত ও ব্যবহারিক করছেন তিনি। বললেন, স্মার্ট গয়না নারীদের জন্য। মেয়েরা হঠাৎ কোথাও আক্রান্ত হলে এটা কাজে লাগবে।
রাগিব হাসানরা বানিয়েছেন স্মার্ট ব্রেসলেট। এটা এমনভাবে বানানো, মেয়েরা পরতে পারবেন ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হিসেবেই। আক্রান্ত হলে বা বিপদে পড়লে হাতে মুঠোফোন বা অন্য কোনো যন্ত্রের বোতাম চাপতে হয়। তারপর বিপদের সংকেত পুলিশ স্টেশন বা অন্য কোথাও চলে যায়। বাস্তবতা হলো এমন বিপদে মেয়েরা পড়তে পারে, যখন যন্ত্রের বোতাম চাপার সময় বা সুযোগ থাকবে না। স্মার্ট ব্রেসলেটে কোনো বোতামই চাপতে হবে না। এতে থাকা সেন্সর নিজেই বুঝে নেবে আক্রান্ত হয়েছে কি না। হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ ইত্যাদি থেকে মানুষটি ভীত বা আতঙ্কিত কি না তা এই ব্রেসলেট বুঝতে পারবে। আর জায়গামতো সংকেত পাঠিয়ে দেবে। এটাকে আরও কার্যকর ও নির্ভুল করার গবেষণা এখন চলছে সিক্রেট ল্যাবে। স্মার্ট নেকলেস নিয়েও কাজ চলছে। স্মার্ট ব্রেসলেট বানাতে খরচ হয়েছে ২০ ডলার, যা ১৫ ডলারে নামিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন রাগিব।
স্বপ্ন দেখা এক গবেষক
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৩ সালে কম্পিউটার কৌশলে স্নাতক হন রাগিব হাসান। ছয় মাস এখানে শিক্ষকতাও করেন। এরপর চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ২০০৯ সালে ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় থেকে পিএইচডি করেন। ২০১১ সালে জন হপকিনস ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট ডক্টরেট কোর্স করেন কম্পিউটার নিরাপত্তা বিষয়ে। এরপর থেকে আছেন ইউনিভার্সিটি অব অালাবামা অ্যাট বার্মিংহামে। রাগিবের স্ত্রী জারিয়া আফরিন চৌধুরী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে মনোচিকিৎসক। তাঁদের দুই সন্তান জায়ান ও রিনিতা জয়ী।
অনলাইনভিত্তিক বিশ্বকোষ বাংলা উইকিপিডিয়া আর রাগিব হাসান নাম একসঙ্গেই মিশে আছে। এখন তিনি বাংলা উইকিপিডিয়ার ব্যুরোক্র্যাট এবং ইংরেজি উইকিপিডিয়ার একজন প্রশাসক। রাগিবের প্রতিষ্ঠিত ভিডিও টিউটোরিয়ালের ওয়েবসাইট শিক্ষক ডটকম এখন বেশ জনপ্রিয়। জানালেন এতে আরও নতুন কিছু যুক্ত হচ্ছে।
সিক্রেট ল্যাবে রাগিবের গবেষণা প্রকল্পগুলোতেও বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীরা তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন। স্মাট জ্যাকেট প্রকল্পে তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাসিব খান। পিএইচডি শেষে তিনি নর্দার্ন কেন্টাকি ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করছেন। এখন এই প্রকল্পে কাজ করছেন পিএইচডি শিক্ষার্থী ইয়াসের করিম, মাহমুদ হোসেন, শাহিদ নূর। এ ছাড়া আছেন স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্রী যেয়ুন প্যাটেল।
পরিধেয় প্রযুক্তি নিয়ে আরও ভাবছেন রাগিব হাসান। স্মার্ট জুতা, স্মার্ট মোজা, স্মার্ট টুপি কীভাবে তৈরি করা যায় তা নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছেন। বললেন, ‘এমন কাপড় বানানো যায় কি না, যেটা হবে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। আবার রং ও নকশা বদলানো যায় এমন কাপড় তৈরির বিষয় নিয়েও ভাবছি।’
রাগিবের ইচ্ছাটা হলো কম্পিউটার আলাদা করে বহন না করেই তার পুরো সুবিধাটা নেওয়া। ‘আমি কম্পিউটারকে অদৃশ্য করে দিতে চাই।
সব সুবিধাই পাওয়া যাবে, কিন্তু যন্ত্রটাকে দেখা যাবে না।
পরিধেয় ব্যক্তিগত ক্লাউড
রাগিব হাসান যে পরিধেয় কম্পিউটার ক্লাউডের ধারণা দিয়েছেন তা পুরোপুরি কার্যকর।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক—
১
স্মার্টফোন থেকে পাঠানো তথ্য গ্রহণ করবে
ক্লাউড বা স্মার্ট জ্যাকেটটি স্মার্টফোন থেকে পাঠানো তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম। ফলে স্মার্টফোনের শক্তিশালী ও জটিল প্রসেসরের প্রয়োজন পড়বে না। জ্যাকেট পরা অবস্থায় ব্যবহারকারী চাইলে মুহূর্তেই প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যাবেন।
২
জ্যাকেটে কম দামের কম্পিউটার থাকবে
জ্যাকেটটিকে একটি কম্পিউটারের সঙ্গে তুলনা করা হয়। তাই জ্যাকেটটিতে ব্যবহৃত নোডসগুলো স্মার্টফোনের কাজ করে দিতে পারবে।
৩
তথ্য থাকবে ব্যক্তিগত ক্লাউডে
ব্যবহারকারীর তথ্য ব্যক্তিগত ক্লাউডে সংরক্ষণ করবে ক্লাউড জ্যাকেট। অর্থাৎ স্মার্টফোনের মাধ্যমে সম্পাদিত কাজের
তথ্য ক্লাউড জ্যাকেট আলাদাভাবেই সংরক্ষণ করবে।
৪
দ্রুত প্রসেসিং ক্ষমতা
যেকোনো কাজ সম্পাদিত হলে ক্লাউড জ্যাকেটের সঙ্গে সংযুক্ত স্মার্টফোনে বার্তা পাঠাবে।
৫
সস্তা মোবাইল যন্ত্র?
ক্লাউড জ্যাকেট চালু হলে মোবাইল ফোনের দাম কমবে। স্মার্টফোনের মূল্যের বড় অংশই যেখানে
যন্ত্রাংশ, সেখানে এর ব্যবহার অনেকাংশেই কমাবে
এই জ্যাকেট।
পরিধেয় ক্লাউড অপশন
হাসপাতালের রোগীদের জন্য এই পরিধেয় ক্লাউড জ্যাকেটটি খুবই কার্যকর হবে। তবে যে কোনো বহনযোগ্য বস্তুকেই এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত ক্লাউড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।