যে বেশি কথা বলে, সে বেশি বাজে কথা বলে’

Slider রাজনীতি

63298a08fa44c5f4ca195c87e2d03c93-59a1768e04b5c

 ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বারবার যে বেশি কথা বলে, সে বেশি বাজে কথা বলে।

আজ শনিবার সকালে ঢাকায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য শাখায় স্বীকৃতি পাওয়ায় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সারা দিন বক্তব্য দিতে দিতে সব জায়গায় এক রকম বক্তব্য হয়ে যায়। বক্তব্য দিতে তো ইমপুট (নতুন কোনো বিষয়ে ধারণা রাখা) লাগে। নতুন ইমপুট না হলে আমাকে বারবার পুরোনো কথা বলতে হয়। এতে তো আমি ফালতু হয়ে যাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘বারবার যে বেশি কথা বলে, সে বেশি বাজে কথা বলে।’

সব অনুষ্ঠানে মন্ত্রীদের কিংবা তাঁকে না ডাকার জন্য দলের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটিকে পরামর্শ দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী না আসলে ক্যামেরা আসে না, এই থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এরপরে আমরা শুরু করি, দেখি কয়টা ক্যামেরা আসে। না আসলে কী হবে? সব না আসুক, কেউ না কেউ তো আসবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা রাজনীতি করি, তাদের মধ্যে কয়জন বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন আমি সৎ। আমি শতভাগ সৎ মানুষ, কয়জন বলতে পারবেন? এখানেই সমস্যা। আমরা রাজনীতিকেরা যদি দুর্নীতিমুক্ত থাকি, তবে দেশের দুর্নীতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে (আটোমেটিক্যালি) অর্ধেক কমে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, সততা ও সাহসীকতার বিরল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন বঙ্গবন্ধু। রাজনীতিবিদদের এখান থেকে অনেক শিক্ষা নিতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর সততার দৃষ্টান্তের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু শিখিয়েছেন সততার আদর্শ, সততার আদর্শ বড় সম্পদ। একজন রাজনীতিকের জীবনে মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড় আর কিছু নেই। মানুষের ভালোবাসা পেতে হলে সৎ হতে হবে, মানুষকে ভালোবাসতে হবে। মানুষের কাছে থাকতে হবে, মাটির কাছে থাকতে হবে। এই শিক্ষা বঙ্গবন্ধু রাজনীতিকদের দিয়ে গেছেন।

অনুষ্ঠানে সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুহাম্মদ আবদুস সামাদ, বাংলাদেশে ইউনেসকোর কান্ট্রি ডিরেক্টর বিয়েট্রিস কালদুন, আবৃত্তিকার হাসান আরিফ, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *