জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি এখনো রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ নয়। সংস্থাটির সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন এর মুখপাত্র অ্যাড্রিয়ান এডওয়ার্ড।
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার পথ তৈরি করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি সম্মতিপত্র স্বাক্ষরিত হয় গতকাল বৃহস্পতিবার। আর এর এক দিন পরই আজ ইউএনএইচসিআর এই প্রতিক্রিয়া দিল।
এ বছরের ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর দমনপীড়ন শুরু করে। এরপর সেখান থেকে দলে দলে মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। ইউএনএইচসিআরের হিসাব অনুযায়ী, ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৬ লাখ ২২ হাজার রোহিঙ্গা চলে এসেছে।
আজকের বিবৃতিতে বলা হয়, ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মিয়ানমারের সমঝোতা চুক্তিটি দেখেনি। শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরা একটি অধিকার। সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলে শরণার্থীদের অধিকার সংরক্ষিত হলে তা গ্রহণযোগ্য। এ ক্ষেত্রে প্রধান এবং প্রথম বিচার্য বিষয় হলো এই ফেরার বিষয়টি শরণার্থীদের ইচ্ছাধীন হবে। সম্মানজনক শর্তসাপেক্ষে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের নিশ্চয়তা তাদের দিতে হবে।
ইউএনএইচসিআর বলেছে, ‘এখন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে [রোহিঙ্গাদের] ফেরার জন্য নিরাপদ ও স্থায়িত্বশীল অবস্থা নেই। সেখান থেকে মানুষেরা এখনো পালিয়ে আসছে। এখানে আসা অনেক শরণার্থী সহিংসতা, ধর্ষণ এবং বড় ধরনের মনস্তাত্ত্বিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এখানে আসা রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ নিজ চোখে পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুবান্ধবদের মৃত্যু দেখেছে।’
বিবৃতিতে এও উল্লেখ করা হয়, ‘এখানে আসা রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগেরই ফিরে যাওয়ার জন্য কোনো ধরনের সংস্থান নেই। তাদের ঘরবাড়ি এবং গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে। উত্তর রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাওয়ার কোনো অধিকার এখনো নেই।’