৪৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে পড়েছিল রংপুর রাইডার্স। কিন্তু রবি বোপারা-নাহিদুল ইসলামের ব্যাটে ভর করে ম্যাচে ফিরলেও শেষ রক্ষা হয়নি। টান টান উত্তেজনার এ ম্যাচে শেষ পর্যন্ত খুলনাই ৯ রানের জয় তুলে নিয়েছে। খুলনা টাইটানসের ৮ উইকেটে ১৫৮ রানের জবাবে ১৪৯ রানে থেমেছে রংপুর।
চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচেই টইটম্বুর উত্তেজনার লড়াই উপভোগ করলেন দর্শক। অষ্টম ওভারে আফিফ হোসেনের চতুর্থ বলে ফজল মাহমুদ আউট হওয়ার পর জুটি বাঁধেন বোপারা-নাহিদুল। জয়ের জন্য ৭৪ বলে ১১৪ রানের দূরত্বে ছিল রংপুর। এখান থেকে লক্ষ্যটাকে ১২ বলে ২৯ রানের দূরত্বে নামিয়ে আনেন দুই ব্যাটসম্যান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৫ রান দরকার ছিল রংপুরের।
পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ আহমেদের করা সেই ওভারের দ্বিতীয় বলে নাহিদুল (৫৮) রান আউট হলে ভেঙে যায় বোপারার সঙ্গে তাঁর ১০০ রানের জুটি। জুনায়েদের দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে রংপুরও ছিটকে পড়ে ম্যাচ থেকে। ৪ বলে ১৪ রানের দূরত্বে পিছিয়ে ছিল রংপুর। এখান থেকে শেষ বলে ১০ রানের দূরত্বে পিছিয়ে থাকাকালীন ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন বোপারা (৫৯)। ৬ উইকেটে ১৪৯ রানে থেমেছে রংপুরের ইনিংস। বোপারা ৪৪ বলে ৫৯ রানের ইনিংসটি খেললেও রংপুরের এই হারে তাঁর অবদানও কম নয়! ইংলিশ ব্যাটসম্যানটি শেষ তিন ওভারে সেভাবে রান তুলতে পারেননি। রংপুরের দুই ওপেনার ক্রিস গেইল (১৬) আর ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (২) আজ সুবিধা করে উঠতে পারেননি।
রংপুরের বোপারা-নাহিদ যা করতে পারেননি, সেটাই করেছেন মাহমুদউল্লাহ। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর দলের ভার নিয়েছেন। ইনিংস গোছানোর পাশাপাশি রান তোলার গতিও ধরে রেখেছেন। ৩৬ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫৯ রানের ইনিংস খেলেছেন। ম্যাককালামের দুর্দান্ত এক প্রচেষ্টায় না ফিরলে ইনিংসটি আরও বড় করতে পারতেন। অবশ্য জয়ের জন্য এটাই যথেষ্ট প্রমাণিত হয়েছে।