এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে দুইশত কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ঠাকুরগাঁও বিজিবি হাসপাতাল অবশেষে সর্বসাধারনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করে দিয়েছে বিজিবি কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর রিজিয়নের ব্রিগেডিয়ার একে এম সাইফুল আলম হাসপাতালে সর্বসাধারণের সেবার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
বিগ্রেডিয়ার সাইফুল আলম জানান, ধনী-গরীব নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষকে সবচেয়ে কম মূল্যে সেবা দিতে চায় ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবি হাসপাতাল৷
এছাড়া হাসপাতালটি উন্নত অবকাঠামো, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও দক্ষ জনশক্তির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করতে সদা প্রস্তুত৷
বর্ডার গার্ড হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালে বর্তমানে মেডিসিন, নিউরো মেডিসিন, চর্ম ও যৌন, গ্যাস্ট্রো এন্ট্রোলজি, ডায়াবেটিকস, বব্যাধি, শিশু রোগ, গাইনি অ্যান্ড অবস, চক্ষু, নাক-কান-গলা, ডেন্টাল, জেনারেল সার্জারি, ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি, অর্থোপেড্রিক্স ও নেফ্রোলজি বিভাগ সমূহে চিকিৎসকরা নিয়মিত চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন৷
তাছাড়া আধুনিক ও উন্নত প্যাথলজিক্যাল ল্যাব, ডিজিটাল এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, সিটি স্কিন, ইসিজিসহ ডায়াগনস্টিক সেবাও চালু রয়েছে। ইতিমধ্যে জরুরী বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার, আইসিইউ, এনআইসিইউ, ডায়ালাইসিস, ফিজিওথেরাপিসহ অন্য সব বিভাগ চালু রয়েছে। পর্যাপ্ত ডাক্তার নিয়োগ পেলেই কাঙ্খিত সেবা পাবে আশে পাশের কয়েক জেলার মানুষ বলে হাসপাতাল কর্তৃপ জানায়৷
সমাজসেবক মামুনুর রশিদ জানান, উত্তরের অবহেলিত জেলা ঠাকুরগাঁও। এই জেলার মানুষগুলো একমাত্র ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। এই হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, ডাক্তারসহ নানা রকম সমস্যার সঠিক চিকিৎসা পায়না রোগীরা৷
একটু কিছু হলেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে ডাক্তাররা৷ বর্ডার গার্ড হাসপাতাল সবার জন্য পুর্ণাঙ্গ উন্মুক্ত করায় আর রংপুর কিংবা ঢাকা যেতে হবে না রোগীদের৷ এতে করে অর্থ এবং সময় সব দুটোই বাঁচবে৷
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল লিয়াকত আলী, বিজিবি হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মোকতার হোসেন, ডা: ইহসানুল ইসলাম ইহ্সান, শিশু বিশেষজ্ঞ ড. শাহিন আক্তার।