মোঃ শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া , গাজীপুর অফিস: শ্রীপুরে অবৈধ ব্যাটারির বিষাক্ত এসিডে কৃষকের ৭ গরুর মৃত্যু হয়েছে এবং অর্ধশতাধিক গরু ছাগল অসুস্থ্য। আতংকিত অবস্থায় গ্রামবাসী।
সরেজমিনে খোজনিয়ে যানাযায় উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের হায়াৎখাঁনচালা গ্রামে একাধিক কৃষকের ১৫ দিনের ব্যবধানে অবৈধ ব্যাটারি কারখানার বিষাক্ত এসিডে কৃষকের গরু- মারা যাচ্ছে। ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে পশু হাসপাতালের কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও টিম গঠন করে অসুস্থ্য পশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন।
জানা গেছে, প্রায় এক মাস আগে হায়াতখারচালা এলাকায় জনৈক সবুজ মিয়ার মালিকানাধীন জমি ভাড়া নিয়ে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ গ্রামের বাবু মিয়ার পুত্র শাকিল অবৈধ ভাবে ব্যাটারির সীসা পুড়ানোর কাজ শুরু করে। দিনভর বিভিন্ন স্থান থেকে পুরাতন ও নষ্ট ব্যাটারি ওই কারখানায় এনে গভীর রাতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে সীসা বের করা হয়। এতে গ্রামের বেশ কয়েকজন কৃষকের গৃহপালিত গরু-ছাগল অসুস্থ্য হয়ে পড়ে এবং গত কয়েকদিনে ৭টি গরু-ছাগল মারা যায় বৃহস্পতিবার ভোরবেলা স্থানীয় মৃত তমিজ উদ্দিন খানের পুত্র আলমাছ খানের ৭ মাসের একটি গর্ভবতী গাভী মারা যায়। এর আগে একই এলাকার গোলাম মোস্তফা খানের ১টি গাভী, শরীয়ত হোসেন খানের ২টি গাভী, ছফুরা খাতুনের ১টি গাভী, ফুলেছা খাতুনের একটি ছাগল, ইদ্রিস আলীর ২ গাভী অসুস্থ্য হয়ে মারা গেছে।
গৃহপালিত গরুর মালিক কৃষক আলমাছ খান জানান, গভীর রাতে ব্যাপক পরিমানের ব্যাটারি পুড়িয়ে এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট করা হচ্ছে। আমার ৬০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গর্ভবতী গাভী মারা গেছে আরও একটি ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ষাড় অসুস্থ্য হয়ে পড়ে আছে। এ ব্যাপারে ব্যাটারি কারখানার জমির মালিক সবুজ মিয়া জানান, ব্যাটারি পুড়ানোর ফলে গরু-ছাগল মারা যাওয়ার বিষয়টি জানা থাকলে কারখানার জন্য জমি ভাড়া দিতাম না।
কারখানার মালিক শাকিল মিয়া জানান, জনবসতি এলাকা থেকে কারখানা সরিয়ে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেষ্টা করব।
শ্রীপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: আব্দুল জলিল বলেন, ঘটনাটি শুনার সাথে সাথে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ টিম গঠন করে ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে।