অনৈতিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় গুলিস্তানের মদিনাতুল উলুম নামের হাফেজি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী জিদান ওরফে আবদুর রহমানকে হত্যা করা হয়। জিদানকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় একই মাদ্রাসার ১৬ বছর বয়সী আরেক শিক্ষার্থী। মাদ্রাসা ভবনে এ হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে যায় হেফজ বিভাগের ওই শিক্ষার্থী। আজ সোমবার সকাল নয়টার দিকে ওই কিশোরকে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩-এর একটি দল।
আজ বিকেলে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান র্যাব-৩ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
এমরানুল হাসান বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ওই কিশোর মদিনাতুল উলুম নামের হাফেজি মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী। তাই জিদানকে দিয়ে সে কাপড় কাচা, খাবার আনা-নেওয়াসহ বিভিন্ন কাজ করার জন্য আদেশ করত। কিন্তু জিদান এই আদেশ মানতে চাইত না। ১৬ নভেম্বর জিদানকে চড় মারে ওই কিশোর। পরে ওই কিশোরকে সতর্ক করে দেন মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়াছিন। এ ছাড়া জিদানকে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয় সে। জিদান এতে রাজি না হলে আসামি আরও খেপে যায়। এদিকে মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের আরেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে জিদানের ভালো সম্পর্ক ছিল। এতে আসামির সন্দেহ হয়, জিদানের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর ‘অনৈতিক’ সম্পর্ক রয়েছে। এই সন্দেহ গত সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জিদানকে হত্যা করে ওই কিশোর। হত্যার পর ১২ বছর বয়সী জিদানের লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় সে। ওই হত্যাকাণ্ডের পর মাদ্রাসার দেয়ালের ওপর দেওয়া কাঠের বেড়া ভেঙে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত কিশোর। প্রাথমিক জিজ্ঞাসায় ওই কিশোর হত্যার দায় স্বীকার করেছে।