ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড

Slider বাংলার আদালত

1209405_kalerkantho_pic

 

 

 

 

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য জামায়াত নেতা আবু সালেহ মুহম্মদ আবদুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।

১ নম্বর অভিযোগে আসামিদের আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ২ ও ৩ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো হলো :প্রথম অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের ৯ অক্টোবর সকালে আসামিরা পাকিস্তানের দখলদার সেনাবাহিনীর ২৫-৩০ জনকে সঙ্গে নিয়ে গাইবান্ধা জেলার সদর থানাধীন মৌজামালি গ্রামে হামলা চালিয়ে চারজন নিরীহ, নিরস্ত্র স্বাধীনতার পক্ষের মানুষকে আটক, নির্যাতন ও অপহরণ করে। পরে তাদের দাঁড়িয়াপুর ব্রিজে নিয়ে গিয়ে একজনকে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যা করে এবং বাকিদের ছেড়ে দেয়। আসামিরা আটকদের বাড়ির মালামাল লুণ্ঠন করেন।

দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়, ওই দিন বিকেল ৪টার দিকে আসামিরা সুন্দরগঞ্জ থানার মাঠেরহাট ব্রিজে পাহারারত ছাত্রলীগের নেতা মো. বয়েজ উদ্দিনকে আটক করে মাঠেরহাটের রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন করতে থাকে। পরদিন সকালে আসামিরা বয়েজকে থানা সদরে স্থাপিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে যায়। তিন দিন আটক রেখে নির্যাতনের পর ১৩ অক্টোবর বিকেলে তাকে গুলি করে হত্যা করে মরদেহ মাটির নিচে চাপা দেয়।

তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের ১০ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত আসামিরা পাকিস্তান দখলদার সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সুন্দরগঞ্জ থানার পাঁচটি ইউনিয়নের নিরীহ-নিরস্ত্র স্বাধীনতার পক্ষের ১৩ জন চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে অবৈধভাবে আটক করে। তাদের তিন দিন নির্যাতন করার পর পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্পের কাছে নদীর ধারে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে এবং তাদের মরদেহ মাটিচাপা দেয়।

সেখানে ওই শহীদদের স্মরণে একটি বধ্যভূমি নির্মিত হয়েছে।গত ২৩ অক্টোবর উভয় পক্ষের চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য মামলাটি অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছিল। গত বছর ২৮ জুন এই মামলায় তিনটি অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জামায়াত নেতা আবদুল আজিজ, রুহুল আমিন, আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী, নাজমুল হুদা, আবদুর রহিম মিঞা ও মো. আবদুল লতিফ।  আসামিদের মধ্যে আবদুল লতিফ কারাগারে থাকলেও বাকিরা পলাতক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *