বহু প্রতিক্ষার পর ডিসেম্বরেই চালু হচ্ছে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার

Slider সিলেট
11219099_1205294076151057_9113110648150670275_n
সিলেট প্রতিনিধি :: নির্মিতব্য সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারকে বন্দিদের আধুনিক সুযোগ-সুবিধার দিক বিবেচনায় রেখে নির্মান কাজ এগিয়ে চলছে। বর্তমানে নির্মান কাজ শেষের দিকে। বহু প্রতিক্ষার পর চলতি বছরের ডিসেম্বরেই চালু  হতে যাচ্ছে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার।
এই কারাগার চালু হলে সোয়া দু’শ বছরের আগে নির্মিত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা জরাজীর্ণ পরিবেশ থেকে মুক্তি পাবে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বন্দিদের মানবেতর জীবনযাপনের বিষয়টি বিবেচনায় এনে সরকার ২০১১ সালে শহরতলী বাদাঘাটে দু’শ ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ভবনে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়।
১৭৮৯ সালে সিলেট শহরের কেন্দ্রস্থল ধোপাদিঘীর পাড়ে ২৪ দশমিক ৬৭ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল সিলেট জেলা। নির্মাণের সময় থেকে নানা সময়ে কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণ এবং ১৯৯৭ সালে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রূপান্তরের পর এই কারাগারের ধারণ ক্ষমতা দাঁড়ায় ১ হাজার ২১০ জনে। কিন্তু বর্তমানে এই জেলে বন্দি রয়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
পয়ঃনিষ্কাষণ ও পানির সমস্যা ছাড়াও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকায় বন্দিরা মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে মনে করেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ লালা।
এ অবস্থায় ২০১১ সালের আগস্টে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন সিলেট নগরী থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরবর্তী সিলেট সদর উপজেলার বাদঘাটে ৩০ একর জমির ওপর অত্যাধুনিক সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আশা করি ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হবে।’
নির্মাণাধীন দুই হাজার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, একশ শয্যার পাঁচ তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল, ২০ শয্যার মানসিক হাসপাতাল, ২৫ শয্যার টিবি হাসপাতাল, স্কুল ও লাইব্রেরি ভবন ছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মকর্তাদের জন্য ১৩০টি ফ্ল্যাট রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *