সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের গোপন যোগাযোগ ফাঁস

Slider সারাবিশ্ব

171233yuval-steinitz

 

 

 

 

ইসরায়েলের জ্বালানি মন্ত্রী ইয়ুভাল স্টেইনিটজ দাবি করেছেন, তার দেশের সঙ্গে সৌদি আরবের গোপন যোগাযোগ রয়েছে। রবিবার একটি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে তিনি এই দাবি করেন।

লেবানন ইস্যুতে ইরানকে নিয়ে সৌদি ও ইসরাইল এই দুই দেশের উদ্বেগের মধ্যেই এই দাবি করলেন ইসরাইলি ওই মন্ত্রী।

সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে গোপন যোগাযোগ রয়েছে অনেক দিন ধরেই এমন অভিযোগ উঠছিল। কিন্তু দেশ দুটির কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তিই তা স্বীকার করেননি এতদিন। এবারই প্রথম ইসরাইলের কোনো সিনিয়র কর্মকর্তা বিষয়টি স্বীকার করলেন।

ওদিকে ইসরায়েলের জ্বালানি মন্ত্রী ইয়ুভাল স্টেইনিটজ এর এই দাবির ব্যাপারে এখনো মুখ খোলেনি সৌদি আরব। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মুখপাত্রও এই ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সৌদি আরব ও ইসরায়েল দুটি রাষ্ট্রই মধ্যপ্রাচ্যে তাদের জন্য প্রধান হুমকি মনে করে ইরানকে। আর সম্প্রতি লেবানন ইস্যুতে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছিল ইরানের বিরুদ্ধে হয়তো সৌদি আরব ও ইসরায়েল জোট বাধতে পারে।

অথচ সৌদি আরব এতদিন বলে আসছিল, ইসরায়েল ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় যে ভূমি দখল করেছে তা থেকে সরে না যাওয়া পর্যন্ত সৌদি আরব তার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়বে না। আর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকেও স্বীকৃতি দিতে হবে ইসরায়েলকে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তার শান্তিদূতরা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি চুক্তির জন্য সৌদি আরবে গিয়েছে বেশ কয়েকবার। তার মধ্যেই ইসরাইলি মন্ত্রী সৌদি আরবের সঙ্গে তার দেশের এই গোপন সম্পর্ক থাকার কথা বললেন।

আর্মি রেডিওকে দেওয়া ওই সাক্ষাতকারে নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা কেবিনেটের সদস্য স্টেইনিটজ, ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের ওই গোপন সম্পর্কের চরিত্র কী তা বলেননি এবং এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্যও দেননি। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ইসরায়েল কেন সৌদি আরবের সঙ্গে তার ওই সম্পর্ককে গোপন করছে?

তিনি বলেন, ‘অনেক মুসলিম ও আরব দেশের সঙ্গেই আমাদের গোপন সম্পর্ক রয়েছে। আর এই বিষয়ে আমরা লজ্জিতও নই। কিন্তু অপর পক্ষই আমাদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক গোপন রাখতে চায়। সে কারণেই আমরাও গোপন রাখি। ’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রী আদেল জুবায়েরকে সৌদি-ইসরায়েল সহযোগিতার ব্যাপারে প্রশ্ন করেছিল। সেমসময় তাকে ২০০২ সালে আরব লীগে গৃহীত সৌদি আরব প্রস্তাবিত ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি উদ্যোগ সম্পর্কেও জিজ্ঞেস করা হয়।

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সময়ই বলেছি, আরব শান্তি উদ্যোগের ভিত্তিতে যদি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসন হয় তাহলে ইসরায়েলের সঙ্গে সব আরব দেশেরই স্বাভাবিক অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হবে। কিন্তু তার আগে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক স্থাপন করবো না আমরা।

আরব লীগে গৃহীত পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম সহ যেসব ভূখণ্ড দখলে করেছে তা ছেড়ে দিতে হবে।

সূত্র: রয়টার্স

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *