নিজের কক্ষপথে আবর্তিত হওয়ার সময় পৃথিবীর গতি থমকে যেতে পারে। যার ফলে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ভয়াবহ ভূমিকম্প হতে পারে।
বিশেষ করে পৃথিবীর ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নিরক্ষীয় অঞ্চলে বিপদ সবচেয়ে বেশি। এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ এশিয়ায় বাংলাদেশ-ভারত-চীনের মতো জনবহুল দেশের জনসংখ্যা এর ফলে ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থায় আর কী জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের গবেষণা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের রজার বিলহ্যাম ও মন্তানা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেবেকা বেনডিক নতুন এক গবেষণা সামনে এনেছেন। তাঁদের রিপোর্ট গত অক্টোবরে জিওলজিক্যাল স্যোসাইটি অব আমেরিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
পৃথিবীর গতির হেরফের
গবেষকরা বলছেন, পৃথিবীর কক্ষপথে সামান্য গতির হেরফের দিনের দৈর্ঘ্য এক মিলিসেকেন্ড বাড়িয়ে দিতে পারে। যার ফলে পৃথিবীর উপরিভাগের আস্তরণ অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠের নিচে থাকা অংশে শক্তির ব্যাপক হেরফের হতে পারে।
টেকটনিক প্লেটে ধাক্কা
ভূমধ্যস্থ লৌহ ও নিকেল দিয়ে তৈরি ‘ইনার কোর’-এর আকার বদলে যেতে পারে।
যার ফলে তা বাইরের দিকে ধাক্কা দেবে এবং টেকটনিক প্লেটে এসে যার ধাক্কা লাগবে। আর টেকটনিক প্লেটে ধাক্কা লেগে তা উপরে উঠতে চাওয়া মানেই ভয়াবহ ভূমিকম্প আসা সময়ের অপেক্ষা।
ভূমিকম্পের আশঙ্কা
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পৃথিবীর জনবহুল যেসমস্ত এলাকা রয়েছে, তার নিচে যে টেকটনিক প্লেট রয়েছে, তার উপরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীর গতির হেরফের হলে। সঙ্গে এটাও বলা হয়েছে, যত দিন যাবে ততই পৃথিবীতে ভূমিকম্পের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকবে।
সঙ্গে সুনামির আশঙ্কা
বিশ্বজুড়ে গত ৩২ বছরের ভূমিকম্পের প্রবণতা গবেষণা করে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রতি ৬-৭ বছরে একটি করে ভয়াবহ ভূমিকম্প হচ্ছে কোনও না কোনও জায়গায়। ২০১০ সালে হাইতিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ১ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। ২০১১ সালে জাপানে ভূমিকম্প ও সুনামির জেরে ১৮ হাজার মানুষ মারা যায়। সেই হিসাবে আগামী ২০১৮ সালে বড় ভূমিকম্প হতে পারে পৃথিবীতে।