চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়োগ নিয়ে এমপিদের ক্ষোভ, চটেছেন নৌমন্ত্রী

Slider চট্টগ্রাম

225639Sangsad_kalerkantho_pic

 

 

 

 

চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়োগ নিয়ে জাসদ একাংশের কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলুর অভিযোগে চটেছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেছেন, এমপিরা যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য ও বিভ্রান্তিকর।

তাই তার অসত্য বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি। সোমবার রাতে সংসদ অধিবেশনে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি প্রদানকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে রবিবার মঈন উদ্দীন খান বাদল চট্টগ্রাম বন্দরে লস্কর পদে নিয়োগে দুইজন মাত্র চট্টগ্রামের এবং বাকিদের একটি মাত্র জেলা থেকে নিয়োগ দেওয়া হলো কেন? এমন প্রশ্ন রাখেন। এই প্রশ্নের জবাব দেন নৌমন্ত্রী। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে লস্করের চাকরিতে নির্বাচিত ৯২ জনের মধ্যে ২ জন মাত্র চট্টগ্রামের ও বাকি ৯০ জন অন্য একটি জেলার বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সংসদ সদস্যের বক্তব্য সম্পূর্ণ অসত্য এবং বিভ্রান্তিকর। কারণ সেখানে ৯২ জন নয়, চাকরি দেওয়া হয়েছে ৮৫ জনকে। চাকরির বিধান মোতাবেক তাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে।

এ সময় চাকরির বিধান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শ্রেণী বাদে অন্যান্য পদে লিখিত পরীক্ষার পর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পর যিনি সর্বোচ্চ নম্বর পান তাকেই নিয়োগ দেওয়া হয়।

শুধুমাত্র চতুর্থ শ্রেণীর ক্ষেত্রে যারা মৌখিক পরীক্ষায় ভালো করে, যাদের স্বাস্থ্যগত দিক ভালো তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। তাছাড়া প্রতিটি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণ করি। নির্ধারিত কোটায় চাকরি দিলে চট্টগ্রামে আগামী ৩০ বছরেরও চাকরি দেওয়ার কথা নয়। তবে যেহেতু বন্দরটি চট্টগ্রামে তাই তাদের ক্ষেত্রে জেলা কোটায় নিয়োগ দেওয়া হয়নি।তিনি আরো বলেন, আমরা বৃহত্তর চট্টগ্রামের ২৯ জনকে চাকরি দিয়েছি। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ২৩ জন, কক্সবাজারে ৪ জন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ২ জন। অন্যান্য জেলার মধ্যে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, পাবনা, বগুড়া, খুলনা ও মাগুরার লোক রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারে আমলে চট্টগ্রাম বন্দরের ৩ হাজার ১০০ জন লোকের চাকরি দেওয়া হয়েছে। কখনো কোনো অভিযোগ উঠে নাই। এখন কেন এ অভিযোগ। অভিযোগ করেছেন যিনি, সেই মইন উদ্দীন খান বাদল সুপারিশ করেছিলেন মনসুর আলী, পিতা সিরাজুর রহমান। যার রোল নং-জে ০১৪৩২। এ ছেলেটির চাকরি তার অনুরোধে দেওয়া হয়েছে। এখানে যেহেতু শুধু মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়, তাই অন্য মন্ত্রী, এমপিদের অনুরোধ করলে সেটাও বিবেচনা করি। এখানে কারা কারা সুপারিশ করেছেন তালিকা আছে। তিনি কী করে এ অভিযোগ করেন?

মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের আরেক সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু অভিযোগ করেছেন, চট্টগ্রামের নিয়োগ পরীক্ষা ঢাকায় কেন নেওয়া হয়। আমাদের যে সংখ্যক চাকরি প্রার্থী থাকে তাদের চট্টগ্রামে পরীক্ষা নেওয়ার মতো অবস্থা থাকে না। তাই ঢাকাতে পরীক্ষা নেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, ওই এমপি কখনো সুপারিশ করেন নাই। তবে উনার পার্টির নেতা এইচএম এরশাদ যার সুপারিশ করেছিলেন তাকেও চাকরি দেওয়া হয়েছে। তিনি ওই সকল বক্তব্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *