চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, ‘আমার অবর্তমানে আমাকে বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করে। যার মধ্যে ক) আমার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এলআইবি-এর শিপমেন্ট সার্টিফিকেট প্রদানে বিএফএলএলএফইএ এর চেয়ারম্যান হিসেবে অনৈতিকভাবে বাধা প্রদান, খ) নিয়ম বহির্ভূতভাবে অন্য কোম্পানি থেকে পাওনা ৫ কোটি টাকা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার পরিবর্তে নিজের নামে গ্রহণ, গ) ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের হুমকি দেওয়াসহ বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করা, ঘ) আমার অনুপস্থিতিতে আমার অনুমতি ব্যতিরেকে আমার অফিস কক্ষ থেকে জরুরি নথিপত্র অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া উল্লেখযোগ্য। অপহরণ করার পর তাঁরা আমার সমুদয় সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য নানাবিধভাবে চাপ প্রয়োগ করা এবং আমি তা দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করি। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় গত ১৭ নভেম্বর বাসায় ফিরি।’
এই ব্যবসায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই ঘটনায় ন্যায়বিচার চেয়েছেন।
অনিরুদ্ধ রায় ‘রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ’ হওয়ার পর অজ্ঞাত স্থান থেকে ফিরে এসে এখন পর্যন্ত কারও সঙ্গে কথা বলেননি। আজ এই চিঠি লিখেছেন। তিনি সাতবার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব (সিআইপি) হিসেবে সরকারের স্বীকৃতি পেয়েছেন। গত ২৭ আগস্ট গুলশানের ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠার সময় সাত থেকে আটজন লোক আসেন। তাঁরা নিজেদের একটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য পরিচয় দিয়ে মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যান। পুরো ঘটনাটি ঘটে দিনদুপুরে এবং তাঁর গাড়ির চালকসহ ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন অনেকে। পরে তাঁর ভাগনে কল্লোল রায় গুলশান থানায় জিডি করেন।