বাংলাদেশ যে হেরে যেতে পারে, ড্রেসিংরুমে সেটি কেউ তাই ভাবে না। বাজে সময়ে পড়লেও সবাই ভাবে, কেউ না কেউ নিশ্চয়ই দাঁড়িয়ে যাবে। ৩-০ হওয়ার পর ভালো খেলার স্রোতেই আসলে শেষ ম্যাচগুলোয় জেতা হয়ে যায়।’ পরশু বাংলাদেশের চতুর্থ ওয়ানডে জয়েও এর প্রতিফলন দেখছেন হাবিবুল, ‘শুরুতে ব্যাটিংটা খারাপ হলো। কিন্তু মুশফিক-মাহমুদ উল্লাহ ঠিকই দাঁড়িয়ে গেল। এরপর মাশরাফি যে ব্যাট করেছে, অমনটা এর আগে ও কবে করেছে, মনে করতে পারেন? বোলিংয়েও আমরা ব্যাকফুটে ছিলাম। কিন্তু ওই যে বিশ্বাস ছিল জিতব- সে জন্যই জিম্বাবুয়ে আমাদের হারাতে পারেনি। আমি মোটামুটি নিশ্চিত, সিরিজ যদি ১-১, ২-১, ২-২ এ রকম অবস্থায় থাকত, চতুর্থ ম্যাচটি বাংলাদেশ তাহলে হেরে যেত হয়তো।’
শেষ পর্যন্ত হারেনি বাংলাদেশ। আত্মবিশ্বাসের পালে হাওয়া লাগানো আরেকটি জয় তাদের সঙ্গী। কালকের শেষ ম্যাচে অমন আরেকটি জয় যেন দেখছেন হাবিবুল। এর সঙ্গে জিম্বাবুয়ের ঘুণে ধরা আত্মবিশ্বাসের সম্পর্কও খুঁজে পাচ্ছেন তিনি, ‘ওদের দলটি কিন্তু খুব খারাপ না। আসলে এই সিরিজের আগ পর্যন্ত সারা বছর আমাদের যে অবস্থা হয়েছিল, এখন জিম্বাবুয়ের সেই দশা। সিরিজের শুরুর দিকে সুযোগ কাজে লাগাতে না পেরে হেরেছে। এরপর আর সেই হারের গর্ত থেকে বেরোতে পারছে না কিছুতেই।’
আপাতত সফরকারীদের ওই গর্তবন্দি করে রাখাতেই বাংলাদেশের সব মনোযোগ। বিশ্বকাপের আগে টনিকের জন্য ৫-০র চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে! অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ওই বিশ্বকাপের জন্য খেলোয়াড় পরখ করার উপলক্ষ হিসেবেও শেষ দুটো ওয়ানডেতে নিয়েছে বাংলাদেশ। সে কারণেই চতুর্থ ওয়ানডেতে খেলেছেন আবুল হাসান, জুবায়ের হোসেন, ইমরুল কায়েসরা। কাল শেষ ম্যাচের জন্য ঘোষিত দলে ডাকা হয়েছে আরেক তরুণ সৌম্য সরকারকে। একাদশে যাঁরা খেলবেন, তাঁরা জয় এনে দেবেন এবং জোগাবেন বিশ্বকাপের আত্মবিশ্বাসের রসদ- হাবিবুলের প্রত্যাশা তেমনই, ‘আগেও বলেছি যে ২০০৭ বিশ্বকাপের আগে আগে অনেক ম্যাচ জেতা আমাদের মূল আসরে সাহায্য করেছিল খুব। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজ থেকে ছেলেরা ঠিক তেমন আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাচ্ছে। যেটি সারা বছর আমাদের ভেতর ছিল না। যদি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজজুড়ে এত ভালো না খেলতাম, তাহলে বিশ্বকাপে আমাদের তেমন কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। এখন জোর দিয়ে বলতে পারি, বিশ্বকাপে ভালো করার ভালো সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের।’ তার আগে কালকের শেষ ওয়ানডেটা জিততে হবে, এই যা!