সামরিক অভ্যুত্থানের টানটান উত্তেজনার পর জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে বন্দী, এমনটাই জানা গিয়েছিল। তবে ফের তিনি জনসম্মুকে উপস্থিত হয়েছেন।
জানা গেছে, আফ্রিকার অন্যান্য দেশের প্রভাবশালী মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপে তিনি আবার যেন নতুন করে জীবন ফিরে পেয়েছেন।
এবার অবশ্য তাকে পদ ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল জানু পিএফ পার্টির আঞ্চলিক শাখাগুলো। শুক্রবার বিকালে দলটির ১০টি আঞ্চলিক শাখার অন্তত ৮টি মুগাবেকে প্রেসিডেন্ট ও দলের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে।
শনিবার মুগাবের পদত্যাগ চেয়ে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, যাতে সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
জানু পিএফ পার্টির উত্তরাধিকার নিয়ে শুরু হওয়া দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনার সূত্র ধরে বুধবার সেনাবাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানায়। এরপরই ৩৭ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা মুগাবের ‘গৃহবন্দি’ হওয়ার খবর আসে।
দক্ষিণ আফ্রিকার মন্ত্রীদের মধ্যস্থতায় শুক্রবার সকালে গৃহবন্দি দশা থেকে বের হয়ে সাবেক গেরিলা নেতা মুগাবে জিম্বাবুয়ের ওপেন ইউনিভার্সিটির সমাবর্তনে উপস্থিত হন।
বিকালে জিম্বাবুয়ে ডিফেন্স ফোর্সের (জেডডিএফ) পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে শনিবার হারারেতে মুগাবেবিরোধী ‘সংহতি বিক্ষোভে’ অংশ নিতে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
গ্রেস-নানগাওয়া দ্বন্দ্বে জানু পিএফ পার্টিও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে।
এরপরই জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী, যারা মুগাবের জায়গায় নানগাওয়াকেই প্রেসিডেন্ট পদে দেখতে চায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মুগাবের দীর্ঘদিনের সমর্থক গোষ্ঠী প্রবীণ গেরিলাদের সংগঠনও তাকে পদ ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া মুগাবেবিরোধী উদারনৈতিক গোষ্ঠীগুলোও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চেয়েছে।
সূত্র : বিবিসি