এরপর শাকিব নিচে নেমে আসেন। তখন তিনি সঙ্গে থাকা লোকজনের মাধ্যমে ঘটনাটি নিকেতন সোসাইটির নেতাদের অবহিত করেন। সন্তানকে দেখতে না পেয়ে এ সময় তাঁকে বেশ বিমর্ষ লাগছিল। এরপর তিনি বলেন, ‘এটা কীভাবে সম্ভব? মাত্র এক বছরের একটি বাচ্চা ছেলেকে কাজের মেয়ের জিম্মায় বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে কোনো মা কীভাবে দেশের বাইরে চলে যেতে পারে? এটা সন্তানের প্রতি মায়ের কেমন দায়িত্ব পালন? আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না। এটা আমি মানতে পারছি না। আমার ছেলের যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যায়, তাহলে এর দায় নেবে কে?’
এ ঘটনা নিয়ে আপনি কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে শাকিব বলেন, ‘ছেলের প্রতি যার দায়িত্ববোধ এটুকুই, তার প্রতি ব্যবস্থা আর কী নেব! তবে আমি এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেব।’ সিদ্ধান্তটা কী হতে পারে, তা স্পষ্ট করে না বললেও ডিভোর্সের দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
কলকাতার ছবি ‘মাস্ক’-এর শুটিংয়ে থাইল্যান্ড ছিলেন ঢাকাই ছবির সুপারস্টার শাকিব খান। শুটিং শেষ করে ১৬ নভেম্বর ঢাকায় ফিরেছেন। ফিরেই সন্তান আব্রামকে দেখতে যেতে তৈরি হন। কিন্তু সন্তানকে না দেখেই ফিরতে হয়েছে তাঁকে। এদিকে বিকেলে থেকেই খবর ছড়িয়েছে, অসুস্থ হওয়ায় সন্তান আব্রাম খান জয়কে বাসার গৃহকর্মী শেলীর কাছে রেখে কলকাতায় উড়াল দিয়েছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস।
যাওয়ার আগে কাউকে কিছু বলে যাননি অপু। খবর রটেছে, বৃহস্পতিবার রাতে বাথরুমে পা পিছলে পড়ে যান এ নায়িকা। এতে সিজারের সময় করা সেলাই ফেটে রক্তপাত হতে থাকে তাঁর। প্রাথমিকভাবে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল সকালে কলকাতায় যান অপু। তিনি এখন সেখানকার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে জানা যায়। ঠিক এ বিষয়েরও সমালোচনা করেছেন শাকিব খান। তিনি বলেন, ‘কী এমন ঘটল যে এক বছরের বাচ্চা ছেলেকে বাইরে থেকে তালা দিয়ে বিদেশে যেতে হবে? দেশে কি কোনো চিকিৎসা ছিল না?…শুনেছি, অপু এখন নিয়মিত জিমে যান, ব্যায়াম করেন। তাহলে তখন শরীরের কোনো সমস্যা না হলে বাথরুমে পড়েই পুরোনো সেলাইয়ের জায়গা ছিঁড়ে যায়! এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? যদি তা–ই হয়ে থাকে, তাহলে সে আমার ছেলেকে আমার বাবা –মায়ের কাছে রেখে যেতে পারত, নইলে সঙ্গে নিয়ে যেত। সে এর কোনোটাই না করে আমার ছেলেকে কাজের মেয়ের জিম্মায় রেখে বিদেশ চলে গেল! অবশ্যই এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। ছেলের প্রতি মায়া–দরদ থাকলে কাজের মেয়ের জিম্মায় রেখে কখনো বিদেশে যেতে পারে না। তাও আবার ঘরের বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে!’ তিনি আরও বলেন, ‘তার যদি এতই কলকাতা যাওয়ার প্রয়োজন থাকে, তাহলে সন্তানকে সঙ্গে নিয়েই যেতে পারত।’
গৃহকর্মীর কাছে সন্তানকে একা রেখে মা অপুর বাইরে অতিরিক্ত চলাফেরা অপছন্দ শাকিবের। সব সময় এমনটি করে থাকেন বলেও দাবি করেন শাকিব। তাঁর দাবির সত্যতাও স্বীকারও করেন অপুর বাড়ির দেখভালকারী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘অপু ম্যাডাম বেশির ভাগ সময় একা একাই বাইরে যান, জয়কে সঙ্গে নেন না।’
মা হিসেবে অপু তাঁর দায়িত্ব পালন করছেন না—এমন অভিযোগ আগে থেকেই করে আসছেন শাকিব। এদিকে খবর ছড়িয়েছে, শাকিব-অপুর বিবাহবিচ্ছেদ এখন সময়ের ব্যাপারমাত্র। যেকোনো সময় ডিভোর্সের ঘোষণা আসতে পারে দুজনেরই পক্ষ থেকেই।