ক্রিকেটীয় কারণে বিপিএল নিয়ে আগ্রহ ততটা নয়। আগ্রহের পরিধিটা বাড়ছে বরং ভিন্ন এক জায়গায়—জুয়া।
এই টুর্নামেন্ট ঘিরে ওই নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে পড়ছে দেশজুড়ে। এটিকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে এক খুনের ঘটনা ঘটেছে পর্যন্ত। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য এ নিয়ে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা জানালেন কাল আবার। স্টেডিয়াম চত্বরে তা রোধে তৎপর হলেও পুরো দেশের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির বাইরে কী করতে পারেন তারা!
‘জুয়া বন্ধে সরাসরি কিছু করার নেই বিসিবির। তবে আমরা দর্শকদের সচেতন করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। এ ছাড়া আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা দল স্টেডিয়াম এলাকায় যেকোনো ধরনের জুয়া প্রতিরোধে তৎপর রয়েছে’—কাল জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। স্টেডিয়াম চত্বরে জুয়ায় জড়িত সন্দেহে ৭৭ জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার কথাও জানান তিনি, ‘আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা বেটিং করছে এমন সন্দেহে ৭৭ জনকে স্টেডিয়াম থেকে বের করে দিয়েছে। এর মধ্যে ৬৫ জন স্থানীয় দর্শক। বাকিরা বিদেশি; ভারতীয় ও পাকিস্তানি।
কিন্তু পুরো দেশে তো আমরা জুয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। এটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ। আমরা মাঠের স্কোরবোর্ডে জুয়া নিয়ে সচেতনতামূলক কথা প্রচার করছি। এর বাইরে আমাদের আসলে খুব বেশি কিছু করার নেই। ’
বিপিএলে এবার একাদশে পাঁচ বিদেশি খেলানো নিয়েও সমালোচনা রয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তটি আগামীতে বদলে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বোর্ডকর্তারা। আর বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের টি-টোয়েন্টিতে হাত মকশো করার জন্য শুধু দেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে আলাদা এক টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে বলে জানান বিসিবির পরিচালক মল্লিক।