রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হলের সামনে থেকে তুলে নেওয়া হলো ছাত্রীকে!

Slider রাজশাহী
c88b26d80cadd9dca94eba72a472c1a1-59ed527465826
রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীহল থেকে বিভাগে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে এক ছাত্রীকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার সকাল সোয়া আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি তাপসী রাবেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তাঁর বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায়।

ওই ছাত্রীর এক সহপাঠীর ভাষ্য, আজ সকাল নয়টা থেকে তাঁদের বিভাগে পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সকাল সোয়া আটটার দিকে হল থেকে বের হন ওই ছাত্রী। তাপসী রাবেয়া হল থেকে হেঁটে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের সামনে পৌঁছালে পেছনে থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তাঁর ‘সাবেক স্বামী’ সোহেল রানাসহ আরও কয়েকজন যুবক তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জোর করে ওই ছাত্রীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যান তাঁরা। মাইক্রোবাসটি সকাল থেকে হলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল বলে কয়েকজন ছাত্রীর দাবি।

ওই ছাত্রীর ‘সাবেক স্বামী’ সোহেল রানা পেশায় একজন আইনজীবী। তাঁর বাড়ি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায়।

তাপসী রাবেয়া হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীর ভাষ্য, সোহেল রানার সঙ্গে ওই ছাত্রীর গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিয়ে হয়। এ বছরের ১০ অক্টোবর তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। আগামী মাসের ১০ তারিখ তালাক কার্যকর হবে। তবে সোহেল চাচ্ছেন যাতে তালাক না হয়। এ জন্য সোহেল তাঁকে ফোনে প্রায়ই বিরক্ত করতেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, র‌্যাবকে জানিয়েছি। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, তাঁর স্বামী তাঁকে তুলে নিয়ে গেছেন। আমরা সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখেছি, গাড়িটি মেইন গেট, কাজলা গেট ও বিনোদপুর গেট দিয়ে বের হয়নি। তবে চারুকলা দিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিবারকে জানানো হয়েছে। তাঁরা আসছেন।’

নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের জানিয়েছে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। তাঁর স্বামীই নাকি তাঁকে নিয়ে গেছেন। প্রাথমিকভাবে আমাদের বলা হয়েছে তাদের খোঁজাখুঁজি করতে। আমরা সব জায়গায় মেসেজ দিয়ে রেখেছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *