রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে স্থায়ীভাবে ফিরে যেতে ভূমিকা রাখার জন্য রোটারি ইন্টারন্যাশনালের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপি। সফররত রোটারি ইন্টারন্যাশনালের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান পল এ. নেটজেল-এর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্পিকারের সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পল এ. নেটজেল। এ সময় রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট-৩২৮১ এর গভর্নর রোটারিয়ান এফ এইচ আরিফ, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) এর ফ্যাকাল্টি মেম্বার রোটারিযান কান্তারা কে খান, রোটারিয়ান পিডিজি সাফিনা রহমান ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা রোহিঙ্গা সংকট ও রোটারি কার্যক্রমসহ দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় ৬৩তম সিপিসি সফলভাবে আয়োজন করায় স্পিকারকে অভিনন্দন জানান রোটারি ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান।
স্পিকার বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন হতে বলপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গারা চরম বঞ্চিত- যাদের কাছ থেকে শিক্ষা স্বাস্থ্যসহ প্রায় সকল মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। তারা সমাজের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম জনগোষ্ঠী। দিশেহরা রোহিঙ্গরা যখন ঠিকানার খোঁজে দিকবিহীন তখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ভূমিতে তাদের আশ্রয় দিয়ে সূচনা করলেন মানবতার নব দিগন্ত।
তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে স্থায়ী প্রত্যাবর্তনে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
মানবেতর জীবন যাপনকারী নারী ও শিশুদের জন্য সহযোগিতার জন্য তিনি রোটারি ইন্টারন্যাশনালের প্রতি আহ্বান জানান।
জবাবে পল এ. নেটজেল রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রসংশা করে বলেন, রোঙ্গিাদের আবাসন ও অন্যান্য সেবার জন্য রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রয়োজনীয় অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বকে পোলিও মুক্ত করতে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এ কার্যক্রমের আওতায় ২০০ কোটি টাকার কার্যক্রম চলমান। এ ধারাবাহিকতায় সুপেয় পানি, স্যানিটেশন, ক্যানসার হসপিটাল, প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন ও আর্সেনিক দূরীকরণে রোটারি ক্লাব বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছে।
এ সময় স্পিকার রোটারি কার্যক্রমের সাথে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এতে করে জনগণের প্রতিনিধিগণের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণ উন্নয়নের আওতায় আসবে-অর্জিত হবে কাঙ্ক্ষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ২০৩০। সংসদ, বেসরকারি অন্যান্য সংস্থা ও সরকারের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে রোটারির কার্যক্রম পরিচালনা করলে তার সার্বিক সুফল জনগণ ভোগ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।