বহিরাগতদের গবাদিপশুর উৎপাতে নষ্ট হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাস। যত্রতত্র গরু, ছাগল ভেড়া চারণের ফলে ছোট-ছোট ফুল ও ফলের গাছ খেয়ে ফেলার কারণে ও যেখানে সেখানে গোবর থাকায় নষ্ট হচ্ছে এর পরিবেশ।
হলের সামনের সড়কগুলো ও মাঠে গবাদি পশুর গোবরে চলাচল করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষার্থীদের। এ জন্য প্রশাসনের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন তারা।
জানা গেছে, ক্যাম্পাসের পাশ দিয়ে বয়ে চলা পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদ, বোটানিক্যাল গার্ডেন, আমবাগান জার্মপ্লাজম সেন্টার, আবাসিক হলগুলোর সামনে বিশাল সবুজ মাঠ সব মিলিয়ে যেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি। প্রতিবছর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক লাখ দর্শনার্থী ও শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সফরে আসেন। কিন্তু এ সৌন্দর্যের মাঝে বিষফোঁড়া হয়ে আছে বহিরাগতদের গবাদি পশু।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেকে তাদের গরু-ছাগল চরানোর জন্য ক্যাম্পাসের খোলা মাঠে প্রতিদিনই গরু ছাগল নিয়ে আসেন। ফলে হলের সামনের মাঠ ও পার্শ্ববর্তী রাস্তা পরিণত হয় গো-চারণ ভূমিতে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হল, হোসেন শহীদ সোহারাওয়ার্দী হল এমনকি কেন্দ্রীয় খেলার মাঠও গরুর হাটে পরিণত হয়েছে। এসব গবাদি পশুর গোবর যত্রতত্রভাবে মাঠে ও রাস্তায় পড়ে থাকে।
প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের এ গোবর মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়। বিশেষ করে বিকেল বেলা গরুর পাল আর রাস্তার উপর পড়ে থাকা গোবরের জন্য রাস্তায় চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বহিরাগতরা ক্যাম্পসকে গবাদি পশুর চারণক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করলেও এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনও মাথাব্যথা নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে খুব শিগগির পুরো ক্যাম্পাস গরুর হাটে পরিণত হবে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাসনের কাছে এ সমস্যার দ্রুত সমাধান দাবি করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দীন হাওলাদার বলেন, “আমাদের লোকবলের সংকট রয়েছে। আগে একটি খোয়াড় ছিল যার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। গরু ধরে খোয়াড়ে রাখার মতো জায়গা না থাকায় আমাদের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে হয়। ফলে আমরা সবসময় অভিযান চালাতে পারছি না। পৌরসভার কাছে আবেদন করেছি, দ্রুত খোয়াড়ের বিষয়টি সুরাহা হলে এ বিষয়ে আমাদের অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হবে। “