একটি অন্যরকম অনুষ্ঠানে মিলিত হয়েছিলেন ভারতের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেট নক্ষত্ররা। যাকে নিয়ে আলোচনাসভা, গোটা বিশ্বে ক্রিকেট প্রসারে তার নিরলস প্রয়াস উৎকর্ষ বাড়িয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের।
বাংলাদেশের ক্রিকেটেরও অকৃত্রিতম বন্ধু তিনি। সেই জগমোহন ডালমিয়াকে নিয়েই স্মরণসভা ‘জগমোহন ডালমিয়া অ্যানুয়াল কনক্লেভ’।
কলকাতার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এই অনুষ্ঠানে বক্তা ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিলদেব ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান সভাপতি থিলঙ্গা সুমতিপালা। আর শ্রোতার আসনে ভারত, শ্রীলঙ্কা দুই দেশের অধিনায়ক বিরাট কোহালি ও দীনেশ চান্ডিমালের নেতৃত্বে তাদের পুরো দল। উপস্থিত সাবেক ভারত অধিনায়ক আজহারউদ্দিনসহ অনেক নামকরা ক্রিকেটব্যক্তিত্ব।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কোহলিকে দেখে কপিলের মন্তব্য ‘সৌরভ আমাকে শুধু ডালমিয়া নিয়ে বলতে নিষেধ করেছে। ভারতীয় ক্রিকেট নিয়েও বলতে হবে। ‘
এরপরই হাসতে হাসতে বলেন, ‘কোহলি, আমরা কিন্তু তোমার দিকে তাকিয়ে থাকি। জগমোহন ডালমিয়ার মতো তুমিও আমাদের নায়ক।
ডালমিয়া ক্রিকেট বিশ্বে পরিবর্তন এনেছিলেন। তুমিও পার ভারতীয় ক্রিকেটেকে আরও উচ্চতায় পৌঁছে দিতে, যেখানে কেউ পৌঁছাতে পারে না। গত কয়েক বছরে ভারতীয় ক্রিকেট দলে তুমি যে ফিটনেস এনে দিয়ে তা দেখলে গর্ব হয়। ‘
ভারতের বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক আরও বলেন, ‘নায়ক দুই ধরনের হয়। মাঠ ও মাঠের বাইরে। জগমোহন ডালমিয়া মাঠের বাইরের নায়ক। গত ৫০ বছরে খেলার জগতে তার মত প্রশাসক আসেনি। তিনি জানতেন, ক্রিকেটাররা আয় করে তাদের ১০-১৫ বছরের ক্যারিয়ারে। বিষয়টি উপলব্ধি করেই ক্রিকেটারদের জীবনে তার পরের আর্থিক অনিশ্চয়তা না আসার রাস্তা দেখিয়েছিলেন আমার নায়ক ডালমিয়া। ‘
থিলঙ্গা সুমতিপালা বললেন, ‘দূরদৃষ্টি বা নেতৃত্ব প্রদান করা ছিল ডালমিয়ার মজ্জাগত। ক্রিকেট প্রশাসনে তাঁর মত দক্ষ নেতা দেখিনি। ক্রিকেট বিশ্বের এত বড় সংস্কার তার মত কেউ হয়তো করতে পারত না। তিনি জীবিত থাকতে অনেকেই বুঝতে পারেনি, তিনি কত বড় কাজ করে গেছেন। ইতিহাসের পাতা উল্টালে সেই সব গল্প সামনে চলে আসে। ‘
অনুষ্ঠানের শুরুতে ১০ নম্বর আলিপুর রোডের প্রয়াত বাসিন্দাকে নিয়ে বলতে গিয়ে সিএবি সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী বলেন, ‘ক্রিকেট খেলার আগে থেকেই উনাকে চিনি। ছোট থেকেই পারিবারিক সম্পর্ক। ক্রিকেট জীবনে কোনো সমস্যা হলে ওনার কাছে সমাধানের রাস্তা খুঁজে পেয়েছি। ‘