আসিয়ান সম্মেলনে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিসহ অন্য রাষ্ট্রনেতাদের সামনে গত সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে গিয়েছে লাখ লাখ শরণার্থী। বিষয়টি নিয়ে তিনি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। ওই বাস্তুহারা মুসলিমদের অবশ্যই মিয়ানমারে ফেরার সুযোগ দিতে হবে।
প্রসঙ্গত ফিলিপাইনের ম্যানিলায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশের আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের দুই দিনব্যাপী সম্মেলন হয়। এর খসড়া ঘোষণাপত্রে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। তবে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে ‘আক্রান্ত সম্প্রদায়ের’ মধ্যে ত্রাণ বিতরণের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
রাখাইনে ত্রাণ বিতরণের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, এই মানবিক সংকট গোটা অঞ্চলকে অস্থিরতা ও উগ্রবাদের দিকে টেনে নিতে পারে। আন্তোনিও গুতেরেস কথা বলার সময় কাছাকাছিই বসে ছিলেন অং সান সু চি। মিয়ানমার এই জোটের সদস্য। এর আগে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে আন্তোনিও গুতেরেস মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান নির্যাতন-নিপীড়নকে ‘জাতিগত নিধনের’ সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
এদিকে ম্যানিলায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সঙ্গে একটি পার্শ্ব বৈঠক করেছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি। টিলারসন ও সু চির বৈঠকের সময় মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলরের প্রতি এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল— তিনি রোহিঙ্গাদের নাগরিক মনে করেন কি না। প্রশ্নটির জবাব দেননি সু চি। আজ বুধবার ফিলিপাইন থেকে মিয়ানমারে যাওয়ার কথা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসনের।
এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গতকাল মঙ্গলবার ম্যানিলায় বলেন, অং সান সু চিসহ আসিয়ান নেতাদের সামনে রোহিঙ্গা ইস্যুটি নিয়ে তাঁর বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।