মাথার ওপর দেড় শ কোটি পাউন্ড ঋণের বোঝা। ঘোর অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার জেরে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণার মুখে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা।
সোমবার ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বছরের পর বছর ধরে লাগামছাড়া সরকারি খরচের ঠেলায় কপর্দকশূন্য লাতিন আমেরিকার এই সমাজতান্ত্রিক দেশ।
আশ্চর্যের বিষয় এই যে, একদা বিশ্বের অন্যতম ধনী রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হতো ভেনেজুয়েলা। আরব আমিরাতের চেয়েও বেশি পরিমাণে তেল উৎপাদন হতো এই দেশে। অথচ বর্তমানে সেখানে মূল্যবৃদ্ধির হার ৪৮১%। দেশের পাঁচ ভাগের এক ভাগ কর্মহীন। জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশের খাদ্যাভাবে ওজন কমছে।
গত সপ্তাহে ২.৮ কোটি ডলার বন্ড পেমেন্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে ভেনেজুয়েলার বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা করপোইলেক। অন্য দিকে সরকারি তেল সংস্থা PDVSA ৩০০ কোটি ডলার ঋণের ভারে ধুঁকছে।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে এর আগেই একনায়কতন্ত্র কায়েমের অভিযোগ এনেছিল আমেরিকা। বেশ কিছু কাল ধরেই তাঁর বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব আনছে স্পেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিরস্ত্রীকরণ তালিকায় সিরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গেই রয়েছে ভেনেজুয়েলার নাম। তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালের মে থেকে ২০১৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও ব্রিটেনের মধ্যে মোট ১৮.৩ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র ব্যবসা হয়েছে।
সূত্র : সিএনএন