পরাজয়ের লজ্জা বরণ করে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকে বিদায় নিতে হলো ফুটবলে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে। খেলা শুরুর আগে থেকে ইতালিকে নিয়ে একটা আশঙ্কা কাজ করেছিল যে, দলটি বিশ্বকাপে খেলতে পারবে তো? ম্যাচ শেষে আশঙ্কা বাস্তবে রূপ নিল। সুইডেনের সঙ্গে জীবন-মরণ ম্যাচে শেষ পর্যন্ত গোল শূন্য ও হওয়ায় রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়ল ইতালি।
মিলনের সান সিরোয় আজ সোমবার দিবাগত রাতে বাছাইপর্বের প্লে-অফের ফিরতি লেগের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে। প্রথম লেগে ১-০ গোলে জয় লাভ করায় বিশ্বকাপের নিজেদের খেলার সুযোগ পেয়ে গেল সুইডেন। এর ফলে ১২ বছর পর বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়ে গেল ২০০৬ সালে জার্মান আসরে খেলা সুইডেন।
নব্বই মিনিটের খেলার বেশির ভাগ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল ইতালির কাছে। বেশ কয়েকবার সুইডেনের গোল পোস্টে সংঘবদ্ধভাবে আক্রমণও চালায় ইতালি। কিন্তু গোলের দেখা কোনোভাবেই পায়নি দলটি। এদিকে ইতালির গোল পোস্টে সেভাবে আক্রমণ না করতে পারলেও তাদের ঠেকিয়ে রাখতে পেরে অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখেন সুইডেনের খেলোয়াড়েরা।
বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ থেকে বাদ পড়ে যাবেন এই লজ্জা এড়াতে প্রথম থেকেই ইতালি বেশ আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করেছে। বেশ কয়েকটি সুযোগও পায় দলটি। কিন্তু বল জাল পর্যন্ত নিতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধেও একইভাবে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে ইতালি। এই সময়টাতেও কোনো ফল পায়নি দলটি। ফলে খেলা গোল শূন্য ড্র হয়।
২০০৬ সালে জার্মান বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গত দুই আসরে গ্রুপ পর্ব পার হতে পারেনি ইতালি। এবার তো বাদ পড়ল বাছাইপর্ব থেকে। ফলাফল-চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের পেছনে ফেলে মূল পর্বে জায়গা করে নিল সুইডেন।
ব্রাজিলের পর বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সফল দেশ ইতালি। ব্রাজিল এখন পর্যন্ত পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতেছে। ইতালি ও জার্মানি জিতেছে চারবার।
মাত্র দুবার বিশ্বকাপ খেলেনি ইতালি। এর মাঝে একবার নিজেদের ইচ্ছায় অংশ নেয়নি দেশটি। শুধু একবারই বিশ্বকাপে যেতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটি। সর্বশেষ ১৯৫৮ বিশ্বকাপে খেলতে পারেনি ইতালি। ঘটনাক্রমে বিশ্বকাপে সুইডেনের সেরা সাফল্য সে বিশ্বকাপেই। সেবার পেলের ব্রাজিলের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল সুইডেন।