ইরাক ও ইরান সীমান্তের পর কোস্টারিকা ও ইসরায়েলেও ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
ইরাক–ইরান সীমান্তে রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩। ইরাকের সরকারি সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়তে পারে। ভূমিকম্পের সময় দুই দেশের সীমান্তবর্তী ওই অঞ্চলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন এ সময় বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে।
ইরানের জরুরি সেবাবিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা পীর হোসেইন কুলিভান্দ রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল আইআরআইএনএনকে বলেন, সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের সারপোল-ই-জাহাদ শহরে অনেকে হতাহত হয়েছে। ভূমিধসের কারণে উদ্ধার কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
অন্যদিকে ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সংস্থার প্রধান মোর্তেজা সালিম জানিয়েছেন, কমপক্ষে আটটি গ্রামে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, আরও কিছু গ্রামে বিদ্যুৎ চলে গেছে এবং টেলিযোগাযোগব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইরানের বেশ কয়েকটি প্রদেশে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্প সবচেয়ে জোরালোভাবে আঘাত হেনেছে কেরমানশাহ প্রদেশে। ভূমিকম্পের পর তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। সারপোল-ই-জাহাদ শহরেই হতাহত ব্যক্তির সংখ্যা ৯৭–এরও বেশি। কুর্দি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ভূমিকম্পে কমপক্ষে চারজন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছে।
ইরান ও ইরাকের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দুই দেশেই কয়েক হাজার মানুষ পরাঘাতের আশঙ্কায় রয়েছে। তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় ও পার্কে অবস্থান করছে।
কুর্দি স্বাস্থ্যমন্ত্রী রেকাওয়াত হামা রাশেদ রয়টার্সকে বলেন, পরিস্থিতি খুবই সংকটপূর্ণ।
ইরাক-ইরান সীমান্তের পর কোস্টারিকাতেও গতকাল রাতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫। ভূমিকম্পের সময় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে দুজন মারা যায়। সুনামির সতর্কতা দেওয়া হয়নি।
ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকটি পরাঘাত অনুভূত হয়েছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলছে, সে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।