হাফিজুল ইসলাম লস্কর :: সবুজের বুকে সোনালী ছোঁয়া কৃষকের মুখে তৃপ্তির দোলা । সিলেট সদর উপজেলা হাটখোলা ইউপিতে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। জমিতে সোনালি ফসল দেখে কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তি ও আনন্দের হাসি। এবারের আমন ধানের ভালো ফলন দিয়ে গত বছরের বোরোর ফসলহানির ক্ষতি কিছুটা হলেও পূরণ হবে মনে করছেন কৃষকরা।
গত বছর হাটখোলা ইউনিয়নের হাওর ডুবির ঘটনায় বোরো ফসলহানির ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নগদ টাকা ও চাল দিয়ে সহায়তা করে সরকার। এছাড়া আরো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতা করে।
এতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
বোরো ফসল তলিয়ে যাওয়ার পর কর্ম-তৎপরতার মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন কৃষকরা। যে কারণে বোরা ফসল হারানো কৃষকরা আমন চাষে এবার আরো বেশি মনোযোগী হন। হাটখোলা ইউনিয়নের উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আমন ধান চাষে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের উৎসাহী করেন।
কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানামুখী প্রচেষ্টা ও পরামর্শে এবার উপজেলার প্রতিটি অঞ্চলে আমনের বাম্পার ফলন হয়। চাষের উপযোগী সকল জমিতেই আমন ধান বপন করা হয়।
বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি ছোট-ছোট হাওরের জমিতে পাকা ও আধা পাকা সোনালী ধান বাতাসের তালে তালে দুলছে। ধানের মৌ মৌ গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। জমিতে উৎপাদিত ধানের ফলন দেখে আনন্দ ও তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠেছে কৃষকের মুখে।
শুধু তাই নয়, এবার আমনের বাম্পার ফলন দেখে স্থানীয় সর্বস্তরের জনতার মধ্যে আলাদা আনন্দ বিরাজ করছে।
শুক্রবার সরেজমিনে হাটখোলা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের হাওরে গিয়ে দেখা যায়, হাটখোলা ইউনিয়নের প্রতিটি হাওরে আমন ধান কাটার অপেক্ষায় কৃষকরা। মনের আনন্দে সোনালী ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা। কৃষক রমিজ আলী বলেন, এবার আমনের ভালো ফলন হয়েছে। আমাদের খুব ভালো লাগছে। গত বছরের ফসলহানীর লাঘব হয়েছে।