বিএনপির ৯০ থেকে শিক্ষা নিলে ১৭ সালে গনঅভ্যুত্থান সম্ভব

Slider বাংলার মুখোমুখি

23515854_1988307021416339_1618706377_n

 

 

 

 

 

সোলায়মান সাব্বির, গাজীপুর অফিস:  ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের  অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগালে ২০১৭ সালে গনতন্ত্রের জন্য গনঅভ্যুত্থান গড়ে তোলা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন গাজীপুর মহানগর জিয়া পরিষদের সভাপতি আশরাফ হোসেন টুলু। বিএনপির গাজীপুর মহানগরে জিয়া পরিষদ ছাড়া মুল ও আর কোন অঙ্গ সংগঠনের কমিটি নেই। তবে প্রোগ্রামের সফলতার জন্য আগামীকাল ঢাকায় গাজীপুর থেকে ৩ লক্ষ্যাধিক দলীয়  কর্মী ও  উৎসুক জনতা সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে যেতে পারেন বলে তার দাবি।

আজ শনিবার গ্রামবাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে  ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের গাজীপুরের সদস্য সচিব অভিনেতা আশরাফ হোসেন টুলু এ সব কথা বলেন।

সাক্ষাৎকার গ্রহন করেছেন গ্রামাবাংলানিউজের গাজীপুর অফিসের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সোলায়মান সাব্বির।

 

গ্রামবাংলানিউজঃ  আপনার রাজনৈতিক বর্নাঢ্য জীবন!

আশরাফ হোসেন টুলুঃ ৮০র দশকে ছাত্র রাজনীতি শুরু করে জেলাব্যাপী ছাত্রদলকে পুনর্গঠন করি।জেলা সদরের কাজী আজিমউদ্দিন কলেজে পুর্ন প্যানেলে বিপুল ভোটে প্রতিষ্ঠাতা ভিপি নির্বাচিত হই।এর আগে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের সদস্য সচিব নির্বাচিত হই এবং ছাত্র গন অভ্যুত্থানে সফলভাবে নেতৃত্ব দেই।এছাড়া ছাত্রদলের হাত শক্তিশালী করার জন্য জেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট গঠন করি।৯০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হই।

গ্রামবাংলানিউজঃগাজীপুর মহানগরে বিএনপির বর্তমান অবস্থা কেমন?

আশরাফ হোসেন টুলুঃ গাজীপুর মহানগরে বিএনপির বর্তমান কোন সাংগঠনিক অবস্থান নাই কারন এখন পর্যন্ত মুলদল এবং অঙ্গসংগঠনের কোন কার্যকরী কমিটি নাই।শুধুমাত্র জিয়া পরিষদের একটি কমিটি আছে যার সভাপতি আমি আশরাফ হোসেন টুলু।

গ্রামবাংলানিউজঃগাজীপুর মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনে কেমন পরিবর্তন আশা করেন?

আশরাফ হোসেন টুলুঃচারিদিকে আমরা নতুন নেতৃত্বের আভাস পাচ্ছি।বিভিন্ন জেলায় তরুন নেতৃত্বকে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।সেই হিসাবে ৯০ এর গন অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী ছাত্র নেতাদের হাতে এই মহানগরের নেতৃত্ব আসবে বলে আমি আশা করি।কারন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সংগঠন তৈরী করে সেই সংগঠনকে নিয়ে আমরা যে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম তারই ফসল ৯১ এ বিএনপির ক্ষমতায়ন।নতুন মহানগরকে সাংগঠনিকভাবে সাজাতে হলে অভিজ্ঞ,বিশ্বস্ত এবং পরিক্ষীত কর্মীর প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি।ত্যাগী নেতাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করলে ৯০ এর আদলে আরেকটি গন অভ্যুত্থান সম্ভব বলে আমি মনে করি।যার ধারাবাহিকতায় সারাদেশে বিএনপিকে সুসংগঠিত করলে বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

গ্রামবাংলানিউজঃ ১২ই নভেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ উপলক্ষ্যে আপনাদের প্রস্তুতি কেমন চলছে?

আশরাফ হোসেন টুলুঃএই ব্যাপারে জেলা বিএনপির নির্দেশনায় আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছি।গাজীপুর মহানগরসহ পুরো জেলা থেকে প্রায় তিন লক্ষ্যাধিক নেতা কর্মী এবং আমজনতা সভা সফল করবে বলে আমি আশাবাদী এবং সেইদিন ঢাকা হবে গন অভ্যুত্থানের শহর।

গ্রামবাংলানিউজঃ দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আপনার সাংগঠনিক অবস্থান থেকে বিএনপির পোস্ট মর্টেম করুন?

আশরাফ হোসেন টুলুঃ ছাত্র রাজনীতির শুরু মরহুম জননেতা ও সাবেক এমপি হাবীবুল্যাহ স্যারের হাত ধরে।তার কাছ থেকে দীক্ষা নিয়ে ছাত্রদলের রাজনীতির যাত্রা। শুন্য থেকে শুরু করে ৯০ এর গন আন্দোলনের সফলতার পর কাজী আজিমউদ্দিন কলেজের ভিপি হিসাবে দীর্ঘ ১১ বছর সফলতার সাথে নেতৃত্ব দিয়েছি।ছাত্র রাজনীতি করাকালীন আমি যে কর্মী তৈরী করেছিলাম বর্তমানে তা শুন্য প্রায়।দীর্ঘদিন যাবত গাজীপুরে মুল দল এবং অঙ্গ সংগঠনের কোন কার্যকরী কমিটি না থাকার কারনে আমরা অনেক পিছিয়ে পড়েছি।তাই স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে আমার একটা প্রত্যাশা থাকবে গাজীপুর মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনে ত্যাগী,যোগ্য এবং পরীক্ষিত নেতৃত্ব যেন আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *