শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবকে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এক টুইট করেছেন। টুইট বার্তায় বলেন, আসুন বন্দি গণতন্ত্র মুক্ত করে নূর হোসেনের স্বপ্ন সত্য করি।
গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক। শুক্রবার রাতে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী টুইট বার্তায় এসব কথা বলেন। স্বৈরাচার নিপাত যাক/ গণতন্ত্র মুক্তি পাক, বুকে-পিঠে এই স্লোগান লিখে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন পুরান ঢাকার বনগ্রাম লেনের নূর হোসেন। ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গণমিছিলের একপর্যায়ে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট স্কয়ার এলাকায় গুলিবিদ্ধ হলেন তিনি। নূর হোসেনের মৃত্যুতে আন্দোলন আরো জোরালো হলো।
নব্বইয়ের ৬ ডিসেম্বর পতন হলো এরশাদ সরকারের। শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রাজনৈতিক দলগুলো নানান কর্মসূচি পালন করে থাকে এর আগে খালেদা জিয়া এক বিবৃতিতে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদ নূর হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তার রুহের মাগফিরাতও কামনা করেন। তিনি বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নূর হোসেন একটি অবিস্মরণীয় নাম। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের এ লড়াকু সৈনিক হিসেবে তিনি রাজপথে নেমে এসেছিলেন বুকে পিঠে গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক স্লোগান লিখে।
গণতন্ত্রের দাবিতে সোচ্চার এই যুবকের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল স্বৈরাচারের বন্দুক। স্বৈরাচারের বুলেট বুকে বরণ করে নিয়েছিলেন নূর হোসেন।
বিএনপি চেয়ারপাসন বলেন, নূর হোসেনের সে অবদান বৃথা যায়নি। তার রক্তের ধারা বেয়েই ৯০-এর গণ-অভ্যূত্থানে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে, মুক্ত হয় আমাদের গণতন্ত্র। যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে জীবন উৎসর্গ করে ছিলেন নূর হোসেন, তার সে স্বপ্ন আজো পুরোপুরি সফল হয়নি। স্বৈরাচারী শক্তির এ চক্রান্ত্র রুখতে হবে যেকোনো মূল্যে। আজো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামী সৈনিক শহীদ নূর হোসেন আমাদের প্রেরণা। তার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। আর এ জন্য আমাদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে। আজকের এই দিনে আমি দল-মত নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহ্বান জানাই- আসুন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা সবাই ঐক্যবন্ধভাবে কাজ করি।