১৭তম ওভারের চতুর্থ বলটা ইয়র্কার দিয়েই মাশরাফি বিন মুর্তজার দিকে বল ছোড়ার একটা ভঙ্গি করলেন শুভাশিস রায়। রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক অবশ্য কিছু একটা বলে বোলিং প্রান্তে ফিরে যাওয়ার ইশারা করেছিলেন চিটাগং ভাইকিংস পেসারকে। শুভাশিস তাতে আরও তেতে গেলেন। পিচের মধ্যেই কথার লড়াই শুরু হয়ে গেল মাশরাফি-শুভাশিসের।
চিটাগংয়ের লেগ স্পিনার তানবীর হায়দার শান্ত করলেন শুভাশিসকে। মাশরাফিকে সামলাতে এগিয়ে এলেন আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে খেলোয়াড়দের তপ্ত বাক্যবিনিময় হতেই পারে। কিন্তু এটি ব্যতিক্রম, খেলোয়াড় দুজন মাশরাফি-শুভাশিস; দুজনই জাতীয় দলের সতীর্থ বলেই।
মাশরাফি শুধু আন্তর্জাতিক কেন, ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলোয়াড়দের কাছে ভীষণ শ্রদ্ধেয়। মাঠে যত উত্তপ্ত ঘটনাই ঘটুক, মাশরাফির সঙ্গে কোনো জুনিয়র খেলোয়াড়ের লেগে গেছে, দৃশ্যটা দুর্লভই বলতে হবে। আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে যেটি হয়েছে, তাতে কার দায় বেশি, সেটি জানা না গেলেও দৃশ্যটা ভীষণ অপ্রত্যাশিত।
তা কী হয়েছিল শুভাশিসের সঙ্গে? মাশরাফি যতই বলুন, ‘সিরিয়াস কিছু না’, তাতে তো শেষ হয়ে যাচ্ছে না। যদিও রংপুর অধিনায়ক দায়টা নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন, ‘ওকেই আমার স্যরি বলা উচিত। ক্রিকেটে এটা হয়ে থাকে। ওর জায়গা থেকে মনে করি ও ঠিক আছে। আমার হয়তো বা আরেকটু মাথা ঠান্ডা রাখা উচিত ছিল। সে আমার ছোট। জানি না ওর কী করা উচিত ছিল। যেহেতু আমি সিনিয়র, আমার আরেকটু শান্ত থাকা উচিত ছিল।’