মাত্র এক সপ্তাহ আগেই হলিউড অভিনেতা ডাস্টিন হফম্যানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন এক নারী। ৩২ বছর আগে হফম্যানের যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন অ্যানা নামের সেই কিশোরী। এ ঘটনা মীমাংসা হওয়ার আগেই ডাস্টিন হফম্যানের বিরুদ্ধে পুরোনো আরেকটি অভিযোগ খুঁজে পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী কোনো সাধারণ নারী নন, হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপ। একটি পুরোনো ম্যাগাজিনের সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, এই নায়িকাকেও যৌন হয়রানি করেছিলেন ডাস্টিন।
১৯৭৯ সালে জনপ্রিয় একটি সাময়িকীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেরিল দাবি করেছিলেন, ডাস্টিন তাঁকে যৌন হয়রানি করেছেন। সেখানে এই নায়িকা বলেন, ‘প্রথম সাক্ষাতেই ডাস্টিন হফম্যান আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। প্রথম দিন তিনি এগিয়ে এসে আমার সঙ্গে পরিচিত হন, আর আমার বুকে হাত দেন।’ এ সময় ডাস্টিন হফম্যানকে জঘন্য পশুর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন মেরিল স্ট্রিপ।
মেরিল ও হফম্যান অভিনীত ছবি ‘ক্রেমার ভার্সেস ক্রেমার’ (১৯৭৯) একাডেমি অ্যাওয়ার্ডে পাঁচটি বিভাগে পুরস্কার জিতেছিল। এই ছবির জন্য মেরিল স্ট্রিপ ও ডাস্টিন হফম্যানও সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী ও সেরা অভিনেতার অস্কার পান। ছবি মুক্তি পাওয়ার বছর মেরিলের সেই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। কিন্তু ৩৮ বছর পর এ অভিযোগ সামনে আনার পর মেরিল নিজেই তা অস্বীকার করছেন! তিনি বলেন, ‘আমি যেভাবে বলেছিলাম, ম্যাগাজিনে সেভাবে আমার বক্তব্য ছাপা হয়নি। ডাস্টিন আমার সঙ্গে একটা অপরাধ করেছিল, আর সে জন্য তিনি আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। আর আমি তাঁকে ক্ষমা করে দিয়েছি।’
‘ক্রেমার ভার্সেস ক্রেমার’ ও ‘রেইন ম্যান’ ছবির তারকা ডাস্টিন হফম্যান ১৯৮৫ সালে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকেও যৌন হয়রানি করেছিলেন। ডাস্টিনের বয়স তখন ছিল ৪৭। অ্যানা গ্রাহাম হান্টার নামের সেই মেয়ে জানান, ১৯৮৫ সালে ‘ডেথ অব আ সেলসম্যান’ ছবির সেটে তাঁর সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এই তারকা। অ্যানা ছিলেন ওই ছবির নতুন একজন প্রডাকশন কর্মী। তাঁকে দিয়ে ডাস্টিন পায়ে মালিশ করাতে চেয়েছিলেন। বড় তারকার এ নির্দেশ তখন কিশোরী অ্যান ফিরিয়ে দিতে পারেননি। সেই সুযোগে অ্যানের শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেন ডাস্টিন। ভয় ও লজ্জায় মেয়েটি সেদিন স্নানঘরে গিয়ে অনেক কেঁদেছিলেন। পরে প্রযোজককে জানিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। নিজের ব্যবসার স্বার্থে অ্যানকে সেদিন প্রযোজক চুপ থাকার পরামর্শ দেন। ৩২ বছর পর অ্যান অস্কারজয়ী ডাস্টিন হফম্যানের আসল চেহারা সবার সামনে নিয়ে এলেন। ই-অনলাইন