“দেশের হারিয়ে যাওয়া নৌপথ উদ্ধার ও খননেরর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ডাকাতিয়া নদী খনন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বর্তমান সরকার ইতিমধ্যে এক হাজার ৩০০ কিলোমিটার নৌপথ উদ্ধার করেছে। “আজ বুধবার বিকেলে ডাকাতিয়া নদী খনন কার্যক্রম উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।
মন্ত্রী বলেন, “ড্রেজার মেশিন সংকটের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে নদী খনন বিলম্বিত হচ্ছে। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর নদীখননে অনেক দূর অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, “দেশের বৃহৎ নৌপথ উদ্ধারের জন্য যে সংখ্যক ড্রেজিং মেশিনের প্রয়োজন- তা আমাদের নেই। এ ক্ষেত্রে আমাদের অর্থ সংকট না থাকলেও ড্রেজিং মেশিনের স্বল্পতা রয়েছে। বর্তমান সরকার ইতিমধ্যে এক হাজার ৩০০ কিলোমিটার নৌপথ উদ্ধার করেছে। ”
মন্ত্রী বলেন, “দেশের ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননে ২০০ ড্রেজার মেশিনের প্রয়োজন। কিন্তু সরকারের কাছে রয়েছে মাত্র ১০০টি।
এই স্বল্প সংখ্যক ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীখনন সময়ের ব্যাপারে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব নদী খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ” পরে মন্ত্রী চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে নৌপথ খনন কাজ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।বিআইডাব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান, চাঁদপুর ৪ আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবউদ্দিন আহম্মদ, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল, পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, হাজীগঞ্জ পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া, পৌরসভার মেয়র মাহবুব উল আলম লিপন, থানার ওসি জাবেদুল ইসলাম প্রমুখ।
জানা গেছে, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ডাকাতিয়া নদীর ৫০ কিলোমিটার এলাকায় ড্রেজিং কার্যক্রমের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।