এ বিবৃতির জবাবে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় পরিষদের কার্যালয়ের পাল্টাবিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যে বিবৃতি দিয়েছে, মিয়ানমার তা দেখেছে। তারা মনে করছে, এ বিবৃতি বাংলাদেশের ও মিয়ানমারের দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
আজ বুধবার মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর সু চির দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির এ বিবৃতি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চলমান আলোচনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। জাতিসংঘের বিবৃতিতে রাখাইন রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা, সংঘাত নিরসন ও পরিস্থিতির উন্নয়নে মিয়ানমারের প্রচেষ্টার বিষয়টি আংশিক উঠে এসেছে।
সু চি তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, সার্বভৌম রাষ্ট্রের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার’ বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জোরালো অবস্থান নেওয়া রাষ্ট্রগুলোকে সাধুবাদ জানান তাঁরা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এখন বন্ধুত্বপূর্ণভাবে দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধান করতে পারে। সভাপতির বিবৃতিতে ওই বিষয়ের গুরুত্ব এড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে নির্ঝঞ্ঝাটে দ্রুতগতিতে যে আলোচনা চলছে, ওই বিবৃতিতে তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ২৩ থেকে ২৫ অক্টোবর বৈঠকে বসেছিলেন। তাঁরা চুক্তিতে পৌঁছেছেন এবং দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাগজে সই করেছেন, যা ইতিবাচকভাবে দুই দেশের সীমান্ত নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ ঘনিষ্ঠ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ১৬ থেকে ১৮ নভেম্বর মিয়ানমারে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁর ওই সফরে সন্তোষজনক চুক্তিতে পৌঁছানো যেতে পারে।