আর একদিন পরেই দক্ষিণ কোরিয়া সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর ট্রাম্পের সেই সফরের আগেই উত্তর কোরিয়ার ১৮ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একতরফাভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করল দক্ষিণ কোরিয়া।
সোমবার নতুন করে আরোপ করা এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় সেই ১৮ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের আর্থিক লেনদেন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তারা আর আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন না।
বহিঃবিশ্বের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার আর্থিক লেনদেনের রাশ টানতে এ ব্যবস্থা কার্যকর হবে বলে মনে করছে দক্ষিণ কোরিয়া। আন্তর্জাতিকভাবেও উত্তর কোরিয়ার বৈদেশিক লেনদেন বন্ধ করার চেষ্টা চলছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকে এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ঘোষণা করা হয়েছে। এটি দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় জারি করেছে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনলাইনে প্রকাশ করেছে।
যে ১৮ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তারা সবাই উত্তর কোরিয়ার ব্যাংকের সঙ্গে জড়িত।
উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দক্ষিণ কোরিয়ার এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘যাদের নামে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তারা সবাই ইতোমধ্যেই জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা সবাই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সঙ্গে তাদের যোগসূত্র রয়েছে।
এছাড়া তারা উত্তর কোরিয়ার বৈদেশিক মুদ্রা কেনা-বেচার প্রচেষ্টার সঙ্গেও জড়িত। ’সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়াসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ শুরু করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সফরে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে তিনি অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন। আর এ সফরের আগেই উত্তর কোরিয়ার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা গ্রহণ করাকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই।
সূত্র : রয়টার্স