গতকাল শনিবার বাদশাহ সালমান এক ডিক্রির মাধ্যমে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে নতুন এই কমিটি গঠনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই ধরপাকড় শুরু হয়।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সৌদি ধনকুবের প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালাল আছেন বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি প্রিন্সের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও করা যায়নি।
এ ছাড়া দুজন মন্ত্রী ও জাতীয় গার্ডের প্রধানের পদ থেকে রাজপরিবারের সবচেয়ে পরিচিত সদস্যকে সরিয়ে দিয়েছেন বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ। জাতীয় গার্ডের প্রধানের পদ থেকে প্রিন্স মেতিব বিন আবদুল্লাহকে সরিয়ে খালেদ বিন আইয়াফকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আদেল আল ফাকিহকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাঁর স্থলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ওই মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-তোইজরিকে। নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আবদুল্লাহ বিন সুলতান বিন মোহাম্মদ আল সুলতানকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
কেন এই ধরপাকড় চালানো হয়েছে, তার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে সৌদি টেলিভিশন আল আরাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে, জেদ্দায় ২০০৯ সালের বন্যা নিয়ে দেশটিতে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই তদন্তের অংশ হিসেবে তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, যুবরাজের নেতৃত্বে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিটিকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পাশাপাশি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারিরও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তারা বলছে, ‘কমিটির লক্ষ্য জনগণের জানমালের সুরক্ষা দেওয়া এবং দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া।’
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এই রদবদলের ফলে পুরো দেশের সব নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর প্রাথমিক নিয়ন্ত্রণ পেলেন।
সম্প্রতি রিয়াদে এক অর্থনৈতিক সম্মেলনে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, সৌদি আরবের আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে তাঁর পরিকল্পনার মূলমন্ত্র হবে ইসলামের কট্টর অবস্থান থেকে উদারনীতিতে ফিরে আসা। চলতি বছর জুনে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হওয়ার পর থেকেই নানা ধরনের সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।