অনৈতিক প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে রাজধানীর বাড্ডায় বাবা-মেয়ে খুন হয়েছেন বলে ধারণা করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিহতরা হলেন জামিল (৩৮) ও তার মেয়ে নুসরাত।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের বাড্ডা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আশরাফুল কবির বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে নিহত জামিলের স্ত্রী আরজিনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে খুলনা থেকে শাহীন ও তার স্ত্রী মাসুমা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে আরজিনা জানান, আগে তারা যে বাসার দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন, সেখানে তৃতীয় তলায় থাকতেন শাহীনরা। তখনই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। ৪ মাস আগে বাসা বদলের সময় আরজিনাই কৌশল করে শাহীনদের সাবলেট ভাড়াটে হিসেবে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, শাহীনের সঙ্গে আরজিনার প্রেমের বিষয়টি শাহীনের স্ত্রী মাসুমা শুরুতে জানতেন না। পরে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। ‘
এ প্রসঙ্গে বাড্ডা থানার ওসি ওয়াজেদ আলী বলেন, শাহীন ও তার স্ত্রীকে গতকাল ঢাকায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। শাহীন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, সময় হলেই জানতে পারবেন।
শাহীন কখন ঘটনাস্থল (বাড্ডার বাসা) ত্যাগ করেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজানের পরপরই এই দুজন খুলনার বটিয়াঘাটায় তাদের গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন।
তবে গ্রেপ্তারের ভয়ে তারা সরাসরি না গিয়ে ভেঙে ভেঙে খুলনায় পৌঁছান। তবে বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
এ হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত শাহীন মল্লিক ও তার স্ত্রী মাসুমা বেগমকে গতকাল শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টায় খুলনা নগরীর লবণচোরা থানার মোহাম্মদনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বিকালে তাদেরকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার ময়নারবাগের ৩০৬ পাঠান ভিলার তিনতলার ভাড়া বাসা থেকে জামিল ও তার মেয়ের নুসরাতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই জামালের ভাই শেখ শামীম হোসেন বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে জামালের স্ত্রী আরজিনা ও তার ‘প্রেমিক’ শাহীনকে।