সাগরে মাছ ধরার সময় পাঁচজন বাংলাদেশি জেলেকে সাগরে ফেলে দিয়ে মাছ ও ট্রলার নিয়ে গেছে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। পরে ওই জেলেদের নাফ নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে বিজিবির টহলদলের সদস্যরা।
আজ শুক্রবার ভোররাত চারটার দিকে সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন মো. রুবেল (২৫), মো. ইলিয়াছ (২২), নাজিম উদ্দিন (২৬), সৈয়দ উল্লাহ (৩০) ও মো. আলমগীর (৩০)। তাঁরা সবাই টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়ার বাসিন্দা।
ছিনিয়ে নেওয়া ট্রলারের মাঝি সৈয়দ উল্লাহ বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁরা পাঁচজন মাছ ধরতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে বাংলাদেশের জলসীমায় জাল ফেলে মাছ ধরছিলেন। ভোররাত চারটার দিকে হঠাৎ মিয়ানমার বিজিপির একটি স্পিডবোট এসে অস্ত্রের মুখে তাঁদের জিম্মি করে। পরে ট্রলারে উঠে তাঁদের মারধর করে সাগরে ফেলে দেয়। ওই সময় মাছসহ ট্রলারটি নিয়ে যায় বিজিপি। ট্রলারে থাকা চারটি জারিকেন ফেলে দিলে সেগুলো দিয়ে সাঁতরে আসার সময় নাফ নদীর শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচরের কাছাকাছি এলাকা থেকে বিজিবি তাঁদের উদ্ধার করে।
ওই ট্রলারের মালিক মো. ইয়াছিন বলেন, প্রতিদিনের মতো বঙ্গোপসাগরের ওই এলাকায় জেলেরা মাছ ধরতে যান। ভোরে মিয়ানমারের পুলিশ বাহিনীর একটি স্পিডবোট কয়েকটি নৌকাকে ধাওয়া করেছে বলে ফোনে জানান ট্রলারের মাঝি সৈয়দ উল্লাহ। পরে তাঁর মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। সকালে ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর আগেই বিজিবি তাঁদের উদ্ধার করে।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম বলেন, নাফ নদী থেকে পাঁচ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে উত্তেজনার কারণে নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে মাছ ধরতে গিয়েছিল। এ জন্য তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হচ্ছে। এ ছাড়া তাঁরা টাকার লোভে রোহিঙ্গাদের আনতে গিয়েছিল কি না, সেটিও তদন্ত করা হচ্ছে।