সমালোচনা করে জেল খাটলেন ভারতীয় সমর্থক

Slider খেলা

4a75460d415b580827472ac71bd0f6de-59fc57a0ab316

 

 

 

 

গত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ভারতের হার কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি মোহাম্মদ নাঈম। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে এ নিয়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে। কে জানত, এ জন্য তাঁকে জেলে যেতে হবে!
২৪ বছর বয়সী নাঈম ভারতের উত্তর প্রদেশের শাহজানপুর জেলার স্থানীয় ক্রিকেটার। গত ১৮ জুন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ভারতের হারের পর রাতে বন্ধুদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যুক্তি-তর্কের একপর্যায়ে নাঈম বলেন, ‘ভারতীয় দল ভেবেচিন্তেই হেরেছে, কারণ ম্যাচটা ছিল পাতানো। এ ম্যাচ হারের জন্য টাকা নিয়েছে ভারতীয় দল।’ এমন অপরিণামদর্শী মন্তব্যের ফলাফলটা নাঈম টের পান ঠিক তার এক দিন পর।
হোয়াটসঅ্যাপের সেই গ্রুপে নাঈম এবং তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে ছিলেন রাজকমল বাজপাই নামের আরেক স্থানীয় ক্রিকেটার। সে আবার ভারতের রাজনৈতিক দল বিজেপির যুব মোর্চার সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট। নাঈমের সেই মন্তব্য এবং বন্ধুদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের স্ক্রিনশট নিয়ে বাজপাই তা উপস্থাপন করেন শাহজানপুরের পুলিশ প্রধান কেবি সিংয়ের কাছে। পরে সেই পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে চক কোতোয়ালি থানায় নাঈম এবং তাঁর দুই বন্ধুর বিপক্ষে এফআইআর দাখিল করা হয়।
পুলিশ চার্জশিট দাখিলের পর গত ৩১ অক্টোবর প্রধান বিচারিক আদালতে এ মামলার শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে নাঈমকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। মজার ব্যাপার হলো, শুরুতে নাঈমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি বিধি অনুসারে। কিন্তু পুলিশ তাঁর বিপক্ষে চার্জশিটে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫-এ (ভেবেচিন্তে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া) এবং ৫০৪ (উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপমান এবং শান্তিভঙ্গ) ধারাও জুড়ে দেয়। এ ব্যাপারে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম চক কোতোয়ালি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করলে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অশোক পাল বলেন, ‘মামলার তদন্তের সময় আমরা যেসব প্রমাণাদি পেয়েছি, তা সাপেক্ষে এসব ধারা যোগ করা হয়েছে।’
তবে নাঈম কিন্তু জামিন পেয়েছেন সেই পুলিশেরই চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে। বৃহস্পতিবার তাঁর ব্যাপারে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। সেই প্রতিবেদনে আদালত তাঁর বিপক্ষে কোনো অতীত অপরাধের প্রমাণ পায়নি। আর তাই আদালত তাঁকে জামিন দিয়েছেন এবং আজ তাঁর মুক্তি পাওয়ার কথা। নাঈমের আইনজীবী কমলেশ কুমার জানিয়েছেন, ‘আদালত আমার মক্কেলকে জামিন দিয়েছে, কারণ সে কারও ক্ষতি করেনি এবং তাঁর অতীত অপরাধের কোনো নজিরও নেই।’ সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *