সেদিন কারাগারে হত্যার শিকার মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাসংগ্রামের চার সংগঠক স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, গুরুত্বপূর্ণ দুই মন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামান।
প্রতিবছরের মতো আজ শুক্রবারও জাতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে জাতীয় চার নেতাকে। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নিয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কারাবন্দী অবস্থায় জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা।
কর্মসূচি: আওয়ামী লীগ দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে। সকাল ছয়টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র সংগঠনের শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণ। বেলা তিনটায় ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে চার নেতা স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।