নাসার পুরস্কার জিতলেন বাংলাদেশি মেয়ে মাহমুদা। ঈশ্বরদীর সলিমপুর ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের মেয়ে মাহমুদা সুলতানা জিতে নিয়েছে ২০১৭ সালের ‘NASA Goddard’s FY17 IRAD Innovator of the year’ পুরস্কার।
নাসার সাময়িকী Cutting Edge এর লেটেস্ট ইস্যুর প্রচ্ছদ প্রতিবেদনই করা হয়েছে মাহমুদাকে নিয়ে। তিন পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে শুধু তাকে নিয়ে নাসার বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের মুগ্ধতার বন্যা।
যেমন নাসা গডার্ডের চিফ টেকনলজিস্ট বললেন, এত অল্প সময়ে এত বেশি দক্ষতা সে দেখিয়েছে গবেষণা আর আবিষ্কারে, আমি শুধু কল্পনাই করতে পারি ভবিষ্যতে কি করবে। আমরা ভাগ্যবান যে সে আমাদের সাথে কাজ করতে এসেছিলো।
তার সহকর্মী, নাসার আরেক টেকনোলজিস্ট তাকে নিয়ে বলে, “মাহমুদার মধ্যে আমি একজন প্রফেশনাল তরুণীকে দেখি যে নাসাতে অনেকদুর যাবে।
চিফ টেকনলজিস্ট টেড সোয়ানসনও মনে করেন, একজন সফল আবিষ্কারক হবার সব গুণ আছে তার মধ্যে।
পুরস্কারের ঘোষণায় মাহমুদা সম্পর্কে বলা হয়, Mahmooda has distinguished herself as a tenacious, creative thinker, impressing virtually everyone with her technical acumen and drive” মূলত মহাকাশে সহজে ব্যবহার করা যাবে এমন ছোট ও যুগান্তকারী প্রযুক্তির যন্ত্র আবিষ্কারের জন্যই এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
২০১০ সালে MITথেকে কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি নেবার আগেই এক জব ফেয়ারে তিনি নাসার গডার্ড ডিটেক্টর সিস্টেম ব্রাঞ্চে জবের অফার পান। এর আগেই তিনি ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট করেছিলেন, ততদিনে কাজ শুরু করেছিলেন বিখ্যাত বেল ল্যাবরটরিতে রিসার্চ একাউন্টেন্ট হিসেবে।
মাহমুদা সুলতানা কিশোর বয়সে পরিবারের সাথে আমেরিকা যান। তার বড় চাচাও নাসার এমস রিসার্চ সেন্টারে ফিজিসিস্ট হিসেবে কাজ করেন। তাই ছোট বেলা থেকেই নাসার বিভিন্ন গবেষণা, অর্জন নিয়ে তার পড়াশুনা সম বয়সীযে কারো থেকে অনেক বেশী ছিলো, নাসাতে কাজ করার যে স্বপ্ন তিনি দেশে বসে দেখতে শুরু করেছিলেন, ২০১০ সালে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
মূলত ন্যানো টেকনোলজি, 3D প্রিন্টিং, ডিটেক্টর ডেভেলপমেন্ট এসব নিয়েই মাহমুদার গবেষণা। MIT-এর সাথে মিলে কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন আলো তরঙ্গ ডিটেক্টর নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি। থ্রিডি প্রিন্টার আরো সহজ করার জন্যও তার আবিষ্কার ‘গ্রাউন্ড ব্রেকিং’ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
সুত্রঃ কালেরকন্ঠ