মাউরোসিও পচেত্তিনো বেজায় খুশি। একটা বিরাট স্বীকৃতিই যেন মিলল। টটেনহাম যে কেবল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ হয়ে থাকা কোনো দল নয়, বরং ইউরোপ-সেরা হওয়ার লড়াইয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী, কাল সেটিই যেন প্রমাণ করেছে তারা। রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয় পা রাখা টটেনহামের জন্য কেবল একটি জয়ই নয়, নিজেদের উদ্ভাসিত করার উপলক্ষও।
রিয়ালের সময়টা যে খুব খারাপ যাচ্ছে, সেটা আবারও বোঝা গেল। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে হারের অভিজ্ঞতা হলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। টটেনহামের নিরন্তর প্রেসিং ফুটবলের সামনে রিয়াল ফুটবলাররা যেন ছিল নিতান্তই অসহায়। লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে রিয়ালের হারে বড় ভূমিকা ডেলে আলীর। ২৭ ও ৫৬ মিনিটে ম্যাচের প্রথম দুই গোলই তাঁর। দ্বিতীয় গোলটি তো দুর্দান্ত। ক্রিস্টিয়ান এরিকসন ৬৫ মিনিটে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে দেন জিনেদিন জিদানের দলকে। খেলা শেষ হওয়ার ২০ মিনিট আগে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোলে সান্ত্বনা রিয়াল আসলেই পেয়েছে কি না, সেটি কিন্তু ভাবনার বিষয়ই।
জয়টা দুর্দান্ত, সন্দেহ নেই। তবে এই জয়টাকে পচেত্তিনো দেখছেন টটেনহামের অস্তিত্বকে নতুন করে জানান দেওয়া হিসেবেই, ‘অবশ্যই এ ধরনের জয় আমাদের আরও বেশি মানুষের সামনে নিয়ে আসবে। এটা এমন একটা জয়, ইউরোপের সর্বত্র যেটা নিয়ে আলোচনা হবে। সবাই অন্তত আমাদের দিকে তাকাবে।’
একটি জয়ই টটেনহামকে বড় দল বানিয়ে দিচ্ছে বলে অনুভব পচেত্তিনোর, ‘আজকে মনে হচ্ছে, টটেনহাম বড় দল। আমরা কেবল ইংল্যান্ডেই নই, ইউরোপেও একটা বড় দল।’
এই জয়ের পেছনে নিজেদের প্রস্তুতিটার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন টটেনহাম কোচ, ‘অনেক প্রস্তুতির পর, অনেক পরিশ্রম ও চেষ্টার পরই এই সাফল্য। আমরা এখন বড় প্রতিযোগিতা জিততে চাই।’
রিয়াল কোচ জিদান স্বীকার করেছেন, সময়টা তাঁদের অনুকূলে নয়। তবে তিনি এতে আশা হারাচ্ছেন না। তাঁর মতে, জীবনে এমন সময় আসেই, সেটাকে মেনে নিতে হয়, ‘অবশ্যই আমরা বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এটাই জীবন। জীবনে অনেক সময় এমন কিছু মেনে নিতে হয়। কোনো কিছুই এই সময়টাও নিজেদের পক্ষে আসে না।’ সূত্র: এএফপি