উপবৃত্তাকার হীরার আকারটি কিন্তু বিশাল। অন্তত হীরার টুকরোর হিসেবে তেমনই।
তা না হলে ‘পিঙ্ক প্রমিজ’ নামের বিখ্যাত এই ডায়মন্ডের দাম কি ৪২ মিলিয়ন ডলার হাঁকা হয়? হং কংয়ে ক্রিস্টিস অকশন হাইজে উঠেছে ১৪.৯৩ ক্যারেটের এই গোলাপী হীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর দাম প্রায় সাড়ে ৩ শো কোটি টাকা!নিলাম হাউজ ক্রিস্টিস এর মুখপাত্র ফুং শিয়াং জানান, এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত এবং গুরুত্বপূর্ণ গোলাপী হীরা। এর রং আর স্বচ্ছতা বিস্ময়কার। গোলাপী হীরা এমনিতেই বিরল। এ কারণে দামটাও বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক। প্রতিবছর আমাদের নিলামে যে হীরা তোলা হয়, তার ২ শতাংশেরও কম হীরায় রং থাকে। আবার সব হীরার রং অপূর্ব সুন্দর হয় না।
আসলে হীরা স্বচ্ছ ও বর্ণহীন হয়। কিন্তু আণবিক গঠনের কোনো ত্রুটির কারণে এর রং বদলায়।
এ কারণে ঘটনাটি বিরল। ফলে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ হীরাই যেন বেশি দামি হয়ে উঠেছে।হং কংয়ে আগামী ২৮ নভেম্বর নিলামে তোলা হবে হীরাটি। তবে চীনে চলমান দুর্নীতি প্রতিরোধী অভিযান এই নিলামে দর-দাম হাঁকার বিষয়টিকে কিছুটা প্রভাবিত করবে।
এর আগে চীনের সং ডায়নেস্টির এক হাজার বছরের পুরনো একটি সিরামিকের গামলা কিনতে ক্রেতা ৩৭.৭ মিলিয়ন ডলার দাম দিতে চেয়েছেন। চীনের সিরামিকের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ। ছোট আকারের গামলাটি তৈরি হয়েছিল ৯৬০-১১২৭ সালের মধ্যে। গত মাসেই এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ২০১৪ সালে মিং ডায়নেস্টির এক মদ্য পানের গ্লাসের দাম উঠেছিল ৩৬.০৫ মিলিয়ন ডলার।
এ বছরের প্রথম দিকেই রত্ন বিক্রিতে ইতিহাস গড়ে ‘পিঙ্ক স্টার’ নামের একটি হীরা। এর দাম ওঠে ৭১.২ মিলিয়ন ডলার। ওটা বিক্রি হয় সোথবাইস নিলাম হাউজে। ওই ৫৯.৬০ ক্যারেটের পাথরটি কিনে নেয় হং কংয়ের চো তাই ফুক জুয়েলারি। পূর্ব এশিয়ার একটি মূল্যবান সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এটাকে। সূত্র : এমিরেটস