গাজীপুর আদালতের অতিরিক্ত পিপি মো. আতাউর রহমান জানান, ২০০২ সালে নরসিংদীর পলাশ থানার ঘোড়াশাল চরপাড়া এলাকার মো. আব্দুল বারেকের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৫) পার্শ্ববর্তী মুন্সেফপুর তুমুলিয়া গ্রামে থেকে লেখাপড়া করত। পাশাপাশি প্রতিবেশী সিরাজুল ইসলামের সন্তানদের প্রাইভেট পড়াত। সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী লিপি বেগমের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন অভিযোগ তুলে সোহেল, জাকির ও আলামিনসহ স্থানীয় বখাটেরা আলমগীরকে ওই বাড়িতে যেতে নিষেধ করে। তাদের হুমকি না শুনে আলমগীর প্রাইভেট পড়াতে যেত সিরাজুলের বাড়িতে।
২০০২ সালের ৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে আলমগীর প্রাইভেট পড়ানো শেষে ওই বাসায় বসে টিভি দেখছিল। এসময় সোহেল, জাকির ও আলামিন দেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওই বাসায় গিয়ে আলমগীরকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এক পর্যায়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে বুকসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বাড়ির লোকজনের চিত্কারে এলাকাবাসী এসে আলমগীরকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিত্সাধীন অবস্থায় আলমগীর মারা যায়। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের বাবা আব্দুল বারেক বাদী হয়ে সোহেল, জাকির ও আলামিনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
এ মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে ঘটনার প্রায় ১৫ বছর পর বুধবার আদালত এ রায় ঘোষণা করলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি আতাউর রহমান খান এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট হুমাইয়ুন কবির ও আব্দুর রশিদ।