সড়কে চলছিল পুলিশের টহল। সেখানে পানি ও সিগারেট দিয়ে নিজেদের দোকানে ফিরছিল তারেক। তবে ফেরা আর হয়নি। পুলিশ দেখে বেপরোয়া গতিতে চলতে গিয়ে একটি ট্রাক খাদে উল্টে পড়ে। পড়ার আগে সড়কের পাশে থাকা তারেককে চাপা দিয়ে যায়। গুরুতর আহত এ স্কুলছাত্র পরে হাসপাতালে মারা যায়।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তারেক রহমানের বাড়ি (১৩) উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের মধ্য সলিমপুর গ্রামে। বাবার নাম আকবর হোসেন। গ্রামের বেড়িবাঁধ-সংলগ্ন এলাকায় তাদের পাশাপাশি বাড়ি ও চা-দোকান রয়েছে। তারেক মধ্য সলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ছলিমপুর ইউনিয়নের ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কের গোলচত্বর এলাকায় গতকাল সকাল থেকে পুলিশ গাড়িতে তল্লাশির নামে চাঁদা আদায় করছিল। তারেকদের বাড়ি ও চা-দোকানটি সেখান থেকে কমবেশি ১০০ গজ দূরে। তারেক ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যদের পানি ও সিগারেট দিয়ে দোকানে ফিরছিল। একই সময়ে বন্দর থেকে আসছিল একটি খালি ট্রাক। পুলিশ দেখে ট্রাকটির চালক গতি বাড়িয়ে দেন। বেপরোয়া গতিতে গোলচত্বর ঘুরতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ট্রাকটি পাশের খাদে পড়ার আগে সড়কের পাশে থাকা তারেককে চাপা দিয়ে যায়। এতে তারেক এবং ট্রাকে থাকা একজন শ্রমিকও গুরুতর আহত হন।
‘দাঁড়িয়ে দেখল’ পুলিশ
স্থানীয় লোকজন আহত দুজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে তারেক মারা যায়। তারেকের স্বজনদের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও আহত দুজনকে উদ্ধারে তারা কোনো চেষ্টা করেনি। উল্টো ট্রাকটি খাদে পড়তে দেখে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
তবে সীতাকুণ্ড থানার ওসি ইফতেখার হাসান বলেন, এই অভিযোগ সঠিক নয়। পুলিশ সদস্যরাই আহত দুজনকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ট্রাফিক উপপরিদর্শক (টিএসআই) নজরুল ইসলাম।