রাজধানীর কাঁচাবাজারে সবজির দাম কমেছে। এছাড়া বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে আমনের নতুন চাল। তবে বাজারে নতুন চাল আসলেও দামে প্রভাব পড়েনি। অন্যান্য মুদি পণ্যের দামের তেমন কোনো পরিবর্তন নেই।
শুক্রবার মালিবাগ, মুগদা, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহ ব্যবধানে কাঁচামরিচ, সিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলাসহ বেশির ভাগ সবজির দাম কমেছে।
বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা, সিম ৪০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৫০-৬০ টাকা, পাকা টমেটো ৮০-৯০ টাকা, গাজর ৪০-৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, মুলা ২৫-৩০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা, ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, বাঁধাকপি ২০-২৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, করলা ৪০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, কচুর মুখি ৪০ টাকা, পেঁপে ১৫-২০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, নতুন আলু ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা লাউ প্রতিটি আকার ভেদে ৩৫-৪৫ টাকা, সবুজ শাক আটি ৫-৭ টাকা, লাউ শাক ২০-২৫ টাকা, লাল শাক ৫-৭ টাকা, মুলা শাক ৫ টাকা, পুঁইশাক ১৫-২০ টাকা, কলমি শাক ৫ টাকা ও ধনে পাতা (১০০ গ্রাম) ১০ টাকা, প্রতি হালি লেবু ২০-২৫ টাকা ও কাঁচাকলা হালি ২০-২৫ টাকায় বিক্রি করছেন।
এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৩-৪০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা, দেশি রসুন ১০০ টাকা, একদানা রসুন ১৫০-১৬০ টাকা, বিদেশি রসুন ৮০-৯০ টাকা, দেশি আদা ১৪০-১৫০ টাকা এবং চায়না আদা ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে রাজধানীর চালের দোকানগুলো নতুন নাজিরশাল, পারিজা ও গুটি শর্ণা চাল পাওয়া যাচ্ছে। তবে সব ধরনের চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিকেজি মোটা চাল ৩৭-৩৯ টাকা, বিআর-আটাশ ৪২-৪৪ টাকা, বিআর-ঊনত্রিশ ৪১-৪৩ টাকা, নতুন নাজিরশাইল চাল ৫২-৫৪ টাকা, সাধারণ নাজিরশাইল ৫৩-৫৪ টাকা ও ভালো মানের নাজিরশাইল চাল ৫৫-৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া পারিজা চাল ৪০-৪১ টাকা, গুটি শর্ণা চাল ৩৭-৩৮ টাকা এবং মিনিকেট চাল ৪৮-৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুগদার আজমেরী রাইজ মিল এজেন্সীর মো. বাবুল সরকার বলেন, বাজারে নাজিরশাল, পারিজা ও গুটি শর্ণার নতুন চাল উঠেছে। আর কিছু দিন পর সবধরনের নতুন চাল পাওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, রাজধানীতে রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, যশোর থেকে নতুন চাল আসছে। তবে নতুন চালের সরবরাহ বেশ কম। আগামী দুই-তিন সপ্তাহ নতুন চালের সরবরাহ বেশ বেড়ে যাবে। তখন হয়তো বাজারে দামের প্রভাব পড়বে।
প্রতিকেজি খোলা চিনি ৪৬-৪৭ টাকা, প্যাকেট চিনি ৫০ টাকা, আটা ৩২ টাকা এবং প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১০৫-১১০ টাকা ও পামলিন ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফার্মের মুরগির লাল ডিম ৩০ টাকা, হাঁসের ডিম ৪০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাংসের বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি কেজি ৫ টাকা কমে ১২৫-১৩৫ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৫০-১৫৫ টাকা, গরুর মাংস ৩০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৪৮০-৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাঙ্গাস ১২০-১৮০ টাকা, প্রতিকেজি রুই ২৪০-৩৮০ টাকা, কাতল ২৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০-২০০, চাষের কৈ ২২০-২৮০ টাকা, ছোট ফলি ৩০০ টাকা, চায়না পুটি ১৫০-২৫০ টাকা, সিলভার কার্প ১২০-১৮০ টাকা, চিংড়ি ৫৫০-৮০০ টাকা, শিং মাছ ৫৫০-৭০০ টাকা, দেশি মাগুর ৬০০-৮০০ টাকা ও আকারভেদে ইলিশ প্রতিজোড়া ৮০০-১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।