রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার সম্পূর্ণভাবে নতজানু ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি সব সময় চেষ্টা করেছে। প্রয়োজনে নিজের অবস্থান থেকে সরে গিয়েও গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ লেবার পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে এনেছিলেন। খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন। শুধু তা-ই নয়, ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে মিলে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য যে আন্দোলন করেছিল, সেই আন্দোলনে যে জনমত সৃষ্টি হয়েছিল, তার প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়কের ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি সব সময় চেষ্টা করেছে। বিএনপির লক্ষ্যই হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা।
বিএনপির মহাসচিব গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের আগে সেই ঐক্যের দিকে প্রায় আমরা এগিয়ে গিয়েছিলাম। একেবারে সব দল ও মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। রীতিমতো বিপ্লব হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমরা সফল হতে পারিনি, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন—যেটা ঢাকার মধ্যে হয়েছে। সফল হতে পারিনি বলে যে পারব না, তা নয়।’
রোহিঙ্গা সংকটের উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার সম্পূর্ণভাবে নতজানু ভূমিকা পালন করছে। সরকার কোনোভাবেই এ কথা বলতে পারবে না যে তারা যে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ছিল, তা তারা নিতে পারেনি। বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোকে এখন পর্যন্ত তারা কনভিন্স করতে পারেনি। রাশিয়া, চীন ও ভারত এখনো মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান করছে।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান প্রমুখ।