পাপুয়া নিউ গিনিতে একটি পুরোনো খুলি উদ্ধার হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি সম্ভবত সুনামির শিকার বিশ্বের প্রাচীনতম মানুষের মাথার খুলি। বিবিসি অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মাথার খুলিটি ১৯২৯ সালে দেশটির অটেপ শহরের কাছাকাছি একটি স্থান থেকে আবিষ্কৃত হয়। এটি মূলত আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষ হোমো ইরেকটাস প্রজাতির। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই এলাকা এককালে উপকূলীয় অঞ্চল ছিল। প্রায় ছয় হাজার বছর আগে সেখানে সুনামি আঘাত হানে। তাঁদের বিশ্বাস, উদ্ধার হওয়া মাথার খুলিটি সুনামিতে মারা যাওয়া একজন ব্যক্তির।
১৯৯৮ সালে এক বিধ্বংসী সুনামি আঘাত হানার পর ওই এলাকার মাটি ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে করা এক গবেষণার পর তাঁরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। নিউ সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেমস গফ বলেন, ‘যখন হাড়গুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছিল, তখন পললগুলো বিশ্লেষণে গভীরভাবে মনোযোগ দেওয়া হয়েছিল।’ তিনি বলেন, তলদেশের ‘ভৌগোলিক সাদৃশ্য’ মিলিয়ে দেখা যায় যে হাজার হাজার বছর ধরে মানুষের অভিজ্ঞতায় সুনামির আঘাত রয়েছে। অধ্যাপক গফ বলেন, ‘গবেষণার পর আমরা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে ওই ব্যক্তি এত বছর আগে মারা গিয়েছিলেন যে সম্ভবত তিনি ছিলেন পৃথিবীর প্রাচীনতম সুনামির শিকার।’
বিজ্ঞানীরা এটাও বলছেন, হতে পারে সুনামি ঘটে যাওয়ার আগেই ওই ব্যক্তি মারা গিয়েছিলেন এবং তাঁকে সমাহিত করা হয়েছিল। গবেষণায় শস্যের আকার এবং সমুদ্র তলদেশের গঠন সম্পর্কে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক আণুবীক্ষণিক প্রাণী ও ১৯৯৮ সালের সুনামিতে মারা যাওয়া দুই হাজারের বেশি মানুষের নমুনা। গবেষক দলটি রেডিও কার্বন পদ্ধতি ব্যবহার করে, যা সঠিকভাবে বয়স নির্ধারণ করে।
গবেষকেরা বলছেন, পিএলওএস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধ নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তা সমাধানের জন্য উপকূলীয় এলাকার অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত।