মন্ত্রী ও কর্মকর্তা পর্যায়ে বৈঠকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে পারস্পরিক সহযোগিতার ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার পরদিন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকার কাজ শুরু করেছে। একই সঙ্গে মিয়ানমার বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দাবির প্রেক্ষাপটে আনান কমিশনের প্রতিবেদনের বাস্তবায়নের কাজও শুরু করেছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালকে জানান সু চি।
মন্ত্রীর সফরসঙ্গী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু জানান, কামাল সু চিকে সতর্ক করেন যে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা ফিরে না এলে তারা জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হতে পারেন, যা দুই দেশের কারও জন্য ভালো হবে না।
মন্ত্রী সু চিকে অবহিত করেন যে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চোরাচালান বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। সু চি এটা বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার পুনরায় আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশে মিয়ানমারের নাগরিকদের অনুপ্রবেশ বন্ধে নেপিডো একমত হওয়ার এক দিন পর মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বৈঠক হয়।
এর আগে গতকাল এক বৈঠকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার। পাশাপাশি জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নেও সম্মত হয়েছে। এ ব্যাপারে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করবে।