মাঝ আকাশ হঠাৎই যাত্রীর ব্যাগে রাখা মোবাইলে বিস্ফোরণ এবং তা থেকে ধোঁয়া। শুক্রবার জেট এয়ারওয়েজ এর ভারতের দিল্লি থেকে ইন্দোরগামী বিমানে এমনই ঘটনা ঘটে।
বিমানের ৮০জন যাত্রী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যদিও দ্রুত অবস্থা সামাল দেন বিমানকর্মীরা।
ভারতের দিল্লি থেকে ইন্দোররগামী জেট এয়ারওয়েজের বিমানের ১১-ই আসনে বসেছিলেন অর্পিতা ঢাল। বিমান টেক-অফ করার পনের মিনিটের মাথায় হ্যান্ড-ব্যাগের ভিতর থেকে বিকট শব্দ করে কিছু ফেটে যাওয়ার আওয়াজ পান অর্পিতা। তাঁর পাশের আসনেই ছিলেন স্বামী অতুল। ব্যাগ থেকে ততক্ষণে ধোঁয়া বের তহতে শুরু করেছে। অন্য যাত্রীদের কানেও গিয়েছিল এই বিস্ফোরণের শব্দ। সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ছুটে আসেন বিমানকর্মীরা।
অর্পিতা ও অতুল ততক্ষণে আতঙ্কে ব্যাগটিকে আসনের নিচে ফাঁকা অংশে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন।
তাঁরাই জানান ব্যাগের ভিতরে থাকা স্যামসং-এর জে৭ মোবাইল ফোনটিতে বিস্ফোরণ হয়েছে। ব্যাগটিকে সেখান থেকে বাইরে বার করেন বিমানকর্মীরা। কিন্তু, অগ্নিনির্বাপণের জন্য রাখা ফায়ার এক্সটিংগুইশার কাজ না করায় ব্যাগের ভিতরে জ্বলতে থাকা মোবাইলের আগুন নেভানো যাচ্ছিল না। এরপরই এক বিমানকর্মী পানি ঢেলে মোবাইলের আগুন নেভান।
ওই ফ্লাইটে যাত্রী ও বিমানকর্মী মিলিয়ে মোট ১২০ জন সওয়ারি ছিলেন। সকলেই কিছুক্ষণের জন্য আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন পরে দাবি করেন বিমানেরই এক যাত্রী। তবে, এই ঘটনার জন্য বিমান অবতরণে কোনও সমস্যা হয়নি। নির্দিষ্ট সময় মেনেই বিমানটি সুরক্ষিতভাবে অবতরণ করে বলে জানিয়েছে জেট এয়ারওয়েজ।
কিন্তু বিমানের ভিতরে রাখা ফায়ার এক্সটিংগুইশার কেন কাজ করবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্পিতার স্বামী অতুল ঢাল। তিনি ইন্দোর বিমানবন্দরে একটি অভিযোগও দায়ের করেন। যদিও, জেট এয়ারওয়েজের তরফে জানানো হয়েছে, গাইডলাইন মেনেই আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নিয়েছিলেন বিমানকর্মীরা। তদন্তের জন্য মোবাইলটি জমা নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, দিল্লির ময়ূর বিহারের বাসিন্দা ঢাল পরিবার। সেখানেই প্যাকেজিং-এর ব্যবসা রয়েছে তাঁদের।
পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে দিওয়ালি সেলিব্রেট করতেই ইন্দোর যাচ্ছিলেন তাঁরা। গত বছরই আকাশে স্যামসাং নোট৭-এর একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে আসে। এরপরই বিমানে স্যামসং নোট৭ বহন করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু, এখন দেখা যাচ্ছে স্যামসং-এর নিরাপদ হ্যান্ডসেটগুলোতেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে।
সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া