বিএসসিসিএলের কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি চালু হওয়া দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) ও ভারত থেকে আমদানি করা ব্যান্ডউইটথ দিয়ে ইন্টারনেট ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করা হবে। বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইটথের দৈনিক চাহিদা ৪৫০ জিবিপিএস (গিগাবাইট প্রতি সেকেন্ড)। এর মধ্যে প্রথম সাবমেরিন কেবল থেকে ২৫০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইটথ পাওয়া যায়। বাকি ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইটথ ভারত থেকে আইটিসি (ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল) কোম্পানির মাধ্যমে আমদানি করা হয়।
বিএসসিসিএল এখন পর্যন্ত দুবার প্রথম সাবমেরিন কেবলের মেরামতকাজের তারিখ পিছিয়েছে। এর আগে প্রথম ২২ সেপ্টেম্বর থেকে মেরামত শুরু করার কথা থাকলেও পরে আরেক দফা সময় বদল করা হয়। এই কেবলের ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজারে অবস্থিত। ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে একটি রিপিটার প্রতিস্থাপনের জন্য এ মেরামতকাজ চলবে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ২০০৫ সালে প্রথম সাবমেরিন কেবলের (সাউথ ইস্ট এশিয়া-মিডিল ইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ-৪) সঙ্গে সংযুক্ত হয়। ২০০৫ সালে চালুর পর প্রথমবারের মতো এ সাবমেরিন কেবল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়ে এর মেরামত করা হবে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল।
জানতে চাইলে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, মেরামতকাজের জন্য প্রথম সাবমেরিন কেবল বন্ধ থাকার বিষয়টি বিএসিসিএল থেকে জানানো হয়েছে। এতে দেশের ইন্টারনেটের গতির ওপর কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, তবে তা সাময়িক সময়ের জন্য।